ভারতে শেষ দফায় ভোটযুদ্ধ আজ

31

ভারতে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে সপ্তম তথা শেষ দফায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে কাল। ১৯ মে রবিবার দেশজুড়ে আটটি রাজ্যের ৫৯ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ দফার নির্বাচনে মোট ৯১৮ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ১০ কোটিরও বেশি ভোটার। এদিন উত্তরপ্রদেশের ১৩টি, পাঞ্জাবের ১৩টি, পশ্চিমবঙ্গের ৯টি, বিহারের ৮টি, মধ্যপ্রদেশের ৮টি, হিমাচল প্রদেশের ৪টি, ঝাড়খন্ডের ৩টি ও চন্ডীগড়ের ১টি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রবিবারের নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার মন্ত্রিসভার একাধিক প্রভাবশালী সদস্য। ১১ এপ্রিল শুরু হয়েছিল ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচন। ইতোমধ্যেই ছয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শেষ দফায় মোদি ছাড়াও অন্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহা, রবিশঙ্কর প্রসাদ, এইচ কে বাদল এবং হরদীপ সিং পুরি। এছাড়াও ভাগ্য নির্ধারণ হবে কিরণ খের, সানি দেওল, রবি কিষাণের মতো বিজেপি-র তারকা প্রার্থীদের। ভাগ্য নির্ধারণ হবে তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী ও নুসরৎ জাহানের। কংগ্রেসে রয়েছে শত্রæঘœ সিনহা ও মীরা কুমারের মতো শক্তিশালী প্রার্থীরা। সাত রাজ্যের ৫৯টি আসনের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের পাখির চোখ থাকবে পশ্চিমবঙ্গের ৯টি আসনে। এই আসনগুলো হচ্ছে দমদম, যাদবপুর, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, কলকাতা দক্ষিণ এবং কলকাতা উত্তর। শেষ দফায় প্রশ্চিমবঙ্গে প্রধানত চতুর্মুখী লড়াই হবে। এতে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। সঙ্গে ভোট কাটতে রয়েছে সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস।
গত ছয় দফায় হওয়া রাজনৈতিক হিংসা মাথায় রেখে এবার পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিশেষ নজর রয়েছে পাঞ্জাবের দিকেও। কারণ শেষ দফায় সেখানে একইসঙ্গে ১৩টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার পাঞ্জাবের সব রাজনৈতিক দলের নজর রাজ্যের নতুন ভোটারদের দিকে। পঞ্জাবে প্রধানত ত্রিমুখি লড়াই। ভোট যুদ্ধে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেস, বিজেপি-শিরোমণি আকালি দলের জোট ও আম আদমি পার্টি।
উত্তরপ্রদেশে ১৩টি আসনের মধ্যে সবার নজর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন বারানসীর দিকে। মোদির জয় নিশ্চিত করতে আসরে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শেষ দফায় উত্তরপ্রদেশের মোট ১৬৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এছাড়া বিহারের ৮টি আসনে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন ১৫৭ জন প্রার্থী। মধ্যপ্রদেশের ৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮২ জন প্রার্থী। হিমাচলপ্রদেশের ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৫ জন প্রার্থী। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।