নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান-কবিতা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এই অনুপ্রেরণা থেকে স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য ছিনিয়ে এনেছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সোমবার ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন চট্টগ্রামের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের গান-কবিতা নিষিদ্ধ করেছিল। তারা বাঙালি জাতিকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। রবীন্দ্রনাথ শুধু বাঙালির সম্পদ নয়, তিনি এখন সারাবিশ্বের সম্পদ, বিশ্বকবি। রবীন্দ্রনাথকে শুধুমাত্র কবিতা দিয়ে বিচার করা যাবে না। তাঁর সৃষ্টি, গান তাঁকে চির অমর করে রাখবে। একই সাথে টিকে থাকবে বাংলাদেশ ভারতের অকৃত্রিম বন্ধুত্ব।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মজয়ন্তীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। তিনি একাধারে অনেক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। বিশ্বকবি বাংলাদেশ এবং ভারতের জাতীয় সংগীত রচনা করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর সৃষ্টি বাঙালিদের অসাম্প্রদায়িক জাতি সৃষ্টিতে অনুপ্রাণিত করেছে। কবিগুরু তার সৃষ্টির মাধ্যমে ভারতের বহুজাতিক সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। রবীন্দ্রনাথের প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে।
ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জনে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ড. শিরিন আক্তার, চিটাগং ক্লাবের সভাপতি নাদের খান, বিএসআরএম এর ব্যবস্থাপক আমির হোসাইন, মাহফুজুল হক প্রমুখ।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন ও প্রদীপ প্রজ্জ¦লন শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী লাকী দাশ ও সত্যজিত ঘোষ। নৃত্য পরিবেশন করেন পাপন একাডেমি। আবৃত্তি পরিবেশন করেন প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়া মঞ্চমুকুট নাট্য স¤প্রদায় রবীন্দ্রনাথের মৃনালের কথা নাটকের একটি অংশ পরিবেশন করে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন রাশেদ হাসান ও প্রিয়তমা দে মনি।
