বিশ্বে করোনার নতুন ধরনের ঝুঁকি নিয়ে শেষ ২০২২

13

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিশ্ব নতুন বছরে পদার্পনের দ্বারপ্রান্তে থাকার এই সময়ে বহু জনস্বাস্থ্য এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞই ধারণা করছেন যে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনগুলোর ওপর নজর রাখাটাই হবে আগামী দিনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ কমিয়ে রাখার চেষ্টায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কেউ কেউ আবার চীনে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা বাড়ার দিকটিতে নজর রেখেছেন।
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনটির উপধরনগুলো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে জানিয়ে জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গস্কুল অব পাবলিক হেলথ এর মাইক্রোবায়লজিস্ট অ্যান্ড্রু পেকজ বলেন, “আমরা ওমিক্রনের উপধরনের ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে কিছুদিনের মধ্যে বড় ধরনের কোনও উল্লম্ফন দেখিনি। “কিন্তু এটি এমন একটি পর্যায়ে যাচ্ছে যে, আমাদেরকে এর গতিপ্রকৃতি নজরে রাখতে হবে।” সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে প্রায় সব ধরনের কোভিড সংক্রমণই ঘটাচ্ছে ওমিক্রনের উপধরন বিকিউ.১.১, বিকিউ.১, এক্সবিবি, বিএ.৫, বিএফ.৭ এবং বিএন.১। ওমিক্রনের নানা উপধরন বিশ্বব্যাপীও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখনও চলতে থাকায়, বিশেষ করে চীনে বিধিনিষেধ শিথিলের পর কোভিড সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এখন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যে, কোভিড-১৯ এর এই ধারা ২০২৩ সালেও গড়াতে পারে এবং করোনাভাইরাসের নতুন নানা ধরনের প্রাদুর্ভাব ঘটার ঝুঁকিও থাকতে পারে।
‘এটি একটি উদ্বেগের বিষয়’ বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশভিলের ভান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার এবং ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইনফেকশাস ডিজিজ এর প্রফেসর ড উইলিয়াম শেফনার।