বিশ্ববাজারে আবারও কমলো জ্বালানির দাম

40

বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম আরও কমেছে। গত সোমবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৯৩ ডলার, যা গত রবিবারের চেয়ে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ কম। আর ডবিøউটিআই ক্রুডের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৮৭ দশমিক ১৫ ডলার, যা রবিবারের চেয়ে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ কম। তেলের পাশাপাশি প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও কমেছে। গত কয়েক দিন ধরেই বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম ধীরে ধীরে কমছে। অথচ গত ৬ আগস্ট থেকে সব ধরনের জ্বালানির মূল্য ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে সরকার।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ডলারের বিনিময়মূল্য বেড়ে যাওয়ায় অনেক দেশ জ্বালানি আমদানি হ্রাস করেছে। সেই সঙ্গে উন্নত দেশগুলোতে মন্দার আবহ শুরু হয়েছে। কমে গেছে চাহিদা। আবার বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার কারণে তেলের চাহিদাও কমেছে-এ সবকিছুর সম্মিলিত ফলাফল হলো, জ্বালানির দাম কমে যাওয়া।
এদিকে ওপেকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, এ বছর তেলের চাহিদা দৈনিক ৩১ লাখ ব্যারেলে উন্নীত হবে। ওপেকের ভাষ্যে, চাহিদার এই ধারা সুস্থ বাজারের লক্ষণ। যদিও তারা নানা কারণে বছরের দ্বিতীয়ার্ধের পূর্বাভাস হ্রাস করতে বাধ্য হয়েছে-এর মধ্যে আছে বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে কোভিড-১৯ এর কারণে বিধিনিষেধ আরোপ এবং চলমান ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা।
ওপেকের হিসাব অনুসারে, অধিকাংশ ওপেক সদস্যভুক্ত দেশ সক্ষমতার তুলনায় কম তেল উত্তোলন করছে। ওপেক ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ওপেক-বহির্ভূত তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো জুলাই ও আগস্ট মাসে দৈনিক ছয় লাখ ব্যারেল তেল অতিরিক্ত উৎপাদনের অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু জুলাই মাসে তারা সেই অঙ্গীকার রাখতে পারেনি, আগস্ট মাসেও রাখতে পারবে না বলেই বোঝা যাচ্ছে।