বিদেশ থেকে আসা সব টাকাই রেমিট্যান্স নয়

9

বিদেশ থেকে দেশে অনেকেই টাকা পাঠান। তবে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা সব টাকাই রেমিট্যান্স নয়। কেবল রেমিট্যান্সের বিপরীতে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হয়। কিন্তু অন্য ক্ষেত্রে কোনও প্রণোদনা দেওয়া হয় না। রেমিট্যান্সের সুবিধা পেতে বেশ কয়েকটি শর্ত ও কিছু নিয়ম মানতে হয়। যারা এসব নিয়ম ও শর্ত মানেন না তারা বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আনার পরও রেমিট্যান্সের এই সুবিধা পান না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বিদেশ থেকে টাকা আনলেও রেমিট্যান্সের স্বীকৃতি না পাওয়ার কারণে অনেকেই ২ শতাংশ হারে প্রণোদনার সুবিধা পান না। তৈরি পোশাকের পরে অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান সবচেয়ে বেশি, যা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। খবর বার্তা সংস্থার
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী রেমিট্যান্সের সুবিধা পেতে হলে সরাসরি বিদেশে থাকার পাশাপাশি সেখানে বৈধভাবে আয় করতে হবে। এছাড়া বিদেশে অবস্থিত বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে অথবা ওইসব দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ‘রেমিট্যান্স’ ঘোষণা দিয়ে টাকা পাঠাতে হবে।
সাধারণত, মানিগ্রামসহ বেশ কিছু ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার কোম্পানির মাধ্যমে বেশিরভাগ রেমিট্যান্স আসে। তবে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমেও কিছু রেমিট্যান্স দেশে আসে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রবাসে যারা ছোট-খাটো চাকরি করেন, তারা রেমিট্যান্সের ঘোষণা দিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে যে টাকা পাঠান সেগুলোকে সাধারণত আমরা রেমিট্যান্স বলি। এছাড়া বিভিন্ন দেশে অনেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য করে অল্প পরিমাণ টাকা পাঠালে সেগুলোও রেমিট্যান্স। অর্থাৎ প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকরা তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে ঘোষণা দিয়ে টাকা পাঠালে রেমিট্যান্স হিসেবে স্বীকৃত হবে।
জানা গেছে, রেমিট্যান্সের বিপরীতে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রতি ১০০ টাকায় দুই টাকা করে নগদ প্রণোদনা পাচ্ছেন প্রবাসীর স্বজনরা। এ প্রণোদনা দিতে গত অর্থবছরে মূল বাজেটে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। এর আগের অর্থবছরে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটে রেমিট্যান্স খাতে প্রণোদনার পরিমাণ বাড়িয়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।