বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী ৩ মাস আগে মারা গেছেন!

34

পূর্বদেশ অনলাইন
হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি চুপ রয়েছে। সাধারণত দলের নেতাদের মৃত্যুতে শোক জানানো হলেও তার ঘটনায় এ ধরনের কোনও বিবৃতি বা বক্তব্য আসেনি। দলীয় সূত্রের দাবি, তার প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে বহু বছর ধরে নেতারা অন্ধকারে ছিলেন। যে কারণে মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ হয়নি।

হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি আশিক চৌধুরী ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ একটি স্ট্যাটাস দিলে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি চাউর হয়ে যায়।

ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লেখা ছিল- ‘ভাই বড় ধন, রক্তের বাঁধন’। হারিছের একটি ছবি যুক্ত করে আশিক এ স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসের নিচে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন’ লিখে কমেন্ট দিতে থাকেন।
হারিছ চৌধুরী আগে থেকেই ব্লাড ক্যান্সার ও অন্যান্য জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরী এ তথ্য দেন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালে যাবজ্জীবন সাজা হয় হারিছ চৌধুরীর। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হারিছ চৌধুরীর সাত বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়।
হারিছ চৌধুরী স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে নিয়ে যুক্তরাজ্যে থাকতেন। তাঁর ছেলে জনি চৌধুরী পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার। মেয়ে মুন্নু চৌধুরী ব্যারিস্টার।

এদিকে সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল কাহের বলেন, ‘এটা তো অন্তত তিন মাস আগের কথা। উনি মারা গেছেন ঢাকায়। পারিবারিকভাবে এটা জানানো হয়নি।’
হারিছ চৌধুরীকে ঢাকাতেই দাফন করা হয় বলে জানান কাহের। তবে কোথায় দাফন করা হয় তা তিনি বলতে পারেননি।

দলীয় স্থানীয় সূত্র জানায়, হারিছ চৌধুরী লেবাস পাল্টে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। মৃত্যুর সময় তার কন্যা লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছিলেন।