বান্দরবানে এলজিইডির উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট

13

বান্দরবান প্রতিনিধি

বাংলাদেশে সফরত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট শিজিন চেন বান্দরবান সফরে এসে এলজিইডি’র উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সদর উপজেলার রেইছা-গোয়ালিয়াখোলায় নির্মিত ২২০ মিটার সেতুসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এডিবি কর্তৃক এলজিইডির মাধ্যমে দীর্ঘতম এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। সাঙ্গু নদীর উপর নির্মিত এই সেতুর ফলে দুই পাড়ের ২০টি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নসহ কৃষি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনেছে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন-১) শিজিন চেন এই সেতু পরিদর্শনকালে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের সঙ্গেও কথা বলেন। এর আগে তিনি প্রকল্প এলাকায় পৌঁছালে এলজিইডির পক্ষ থেকে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন কর্মকর্তারা। জেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এডিবি দেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন প্রকল্পের অংশীদার। ভাইস-প্রেসিডেন্ট বান্দরবানে সফরকালে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থায়ন ও ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এসময় তিনি আগামিতেও এডিবি বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল আহমদ, প্রকল্প পরিচালক নুরুল কাদির, নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুস সাদাত মো. জিললুর রহমান, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। এর আগে
এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। গতকাল মঙ্গলবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইন পরিদর্শন শেষে বান্দরবানে আসেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সাধারণ জনগণের চাহিদার প্রেক্ষিতে বান্দরবানের রেইচা-গোয়ালিয়াখোলা ও চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ইউনিয়ন এবং বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ও কুহালং ইউনিয়নের ডলুপাড়া, গুংগুরু হয়ে সদর ইউনিয়নের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ১২ মে ব্রিজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। আর এখন এই ব্রিজ নির্মাণের ফলে সাংগু নদীর দু’পাড়ের প্রায় ১০ হাজার পরিবারের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নসহ কৃষি পণ্য আমদানি-রপ্তানি এবং বর্ষা মৌসুমে যাতায়াত সহজতর হয়েছে। ব্রিজটি নির্মিত হওয়ার ফলে বদলে গেছে নদীর পারের ২০টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের ভাগ্য।
বান্দরবান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুস সাদাত মো. জিললুর রহমান জানান, ১৪ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ২২০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার ব্রিজটি। ব্রিজটি নির্মিত হওয়ায় রাঙামাটি-কক্সবাজার, বান্দরবান-চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে। দূরত্বও কমেছে অনেক। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে।