ফার্নিচার তৈরির কাঁচামাল শুল্কমুক্ত রাখার দাবি

87

ফার্নিচার তৈরির কাঁচামাল সরকার আমদানি শুল্কমুক্ত রাখলে এ শিল্প রপ্তানিমুখি শিল্পে রূপ নিবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফার্নিচার মালিক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি সৈয়দ এএসএম নুরুল উদ্দিন। গতকাল শনিবার সকালে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে দশম চট্টগ্রাম ফার্নিচার মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ১০ম ফার্নিচার মেলা আগামী ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারি নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ থেকে এখন ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফার্নিচার রপ্তানি করা হচ্ছে। এ শিল্পকে রপ্তানিমুখি শিল্পে পরিণত করার লক্ষেই মেলার আয়োজন করা হয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষে পৌঁছাতে পারব। সরকার যদি গার্মেন্টস শিল্পের মতো এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি শুল্কমুক্ত করে তাহলে আমরা বিশাল অংকের বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমরা চট্টগ্রামে দশমবারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছি ফার্নিচার মেলা। এ মেলায় ফার্নিচার প্রস্তুতকারক ও বিপণনকারী সব প্রতিষ্ঠানকে এক ছাদের নিচে পাওয়া যাবে। শুধু পণ্য বিক্রির জন্য মেলার আয়োজন করা হয়নি। আসবাব শিল্পের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতেই এ মেলার আয়োজন। চট্টগ্রাম থেকেই এক সময় এ শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমরা আবার চট্টগ্রামে এ শিল্পের ঐতিহ্য তুলে ধরতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও মেলা কমিটির আহব্বায়ক মাকসুদুর রহমান।
তিনি বলেন, মৌলিক চাহিদা না হলেও রুচিশীল ও সৌখিন মানুষের প্রথম পছন্দ আধুনিক ডিজাইনের আসবাবপত্র। অফিস ও ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে মানুষের আগ্রহ সবসময় আসবাবপত্রের নিত্য নতুন ও আধুনিক ডিজাইনের দিকে। প্রযুক্তির কল্যাণে আসবাবপত্রের নিত্য নতুন ডিজাইন এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। মানুষ এসব ডিজাইন দেশিয় প্রতিষ্ঠানে খুঁজে বেড়ায়। রুচিশীল মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির আওতাভুক্ত সকল ফার্নিচার তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিকমানের আসবাবপত্র তৈরি করে থাকে। আমাদের তৈরি আসবাবপত্রগুলো দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
তিনি বলেন, এবারের মেলায় মোট ৩৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিবে। এ মেলায় ১০টি প্রতিষ্ঠান কো-স্পন্সর হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা মেলা পরিদর্শন করতে পারবেন। মেলা উপলক্ষে আসবাবপত্রে বিশেষ ছাড় প্রদান করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটি-২০১৯ এর যুগ্ম আহবায়ক এম এন আজম খান, সদস্য সচিব মো. সাইফুদ্দিন দুলাল, মেলা কমিটির সদস্য এম নাছের, সৈয়দ এম ইফতেখার উদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. ইকবাল, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ হোসেন টিপু, প্রচার সম্পাদক নঈম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মো. শাহ আলম, ক্রীড়া সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী, চিটাগাং ইভেন্টস এর চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন, এমডি আয়েশা বেগম, মেলা কমিটি-২০১৯ এর চিফ কো-অডিনেটর ও চিটাগাং ইভেন্টস এর সিইও মো. মনজুরুল ইসলাম রায়হান, ইভেন্ট এক্সিকিউটিভ মো. রাসেল, মো. ইরফান, মো. মেহেদী প্রমুখ।