প্রেমই হলো খোদাপ্রাপ্তির পূর্বশর্ত

11

আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’র ব্যবস্থাপনায় আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্’র (মা. জি. আ.) খেতাবতে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন জুলুস ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়।
জুমার বয়ানে সাবির শাহ্ বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের দুনিয়াবী জীবনে তিল পরিমাণ সৎ কাজের পুরস্কার এবং অসৎ কাজের শাস্তি পরকালে বিচারলয়ে প্রদান করবেন। বিচারালয়ে আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় হাবীবের (দ.) সুপারিশেই পুরস্কার ও শাস্তি প্রদান করবেন। সুতরাং রাসুল (দ.) প্রেমই খোদা প্রাপ্তির পূর্বশর্ত। তাই এ পথ অনুসরণে আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন ও তাঁর প্রিয় বন্ধু হজরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন মানুষের জীবন অনুশীলনের মানদÐ ও অনুসরণীয় আদর্শ হিসেবে। প্রকৃত খোদাভীতি ও রাসুলে পাকের (দ.) অনুসৃত পথে জীবনাদর্শ অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি, শৃংখলা, ঐক্য, সাম্য, সমৃদ্ধি ও সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
খুৎবা শেষে আল্লামা সাবির শাহ্’র ইমামতিতে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে তাঁর হাতে হাজার হাজার মুসল্লী সিললিায়ে আলীয়া কাদেরিয়া তরিকায় দীক্ষিত হন। এ সময় তিনি নব-দীক্ষিত মুরিদকে হজরাতে মাশায়েখ কেরামের নির্ধারিত ‘ছবক’ মহব্বতের সাথে আদায় করার পাশাপাশি মাজহাব ও মিল্লাত, ঈমান-আকিদার ভিত্তিকে মজবুত করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় মাশায়েখ হজরাতে কেরামের অনুসরনের মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসুলের (দ.) সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, করোনাকালে গাউসিয়া কমিটির কর্মীদের মানবিক কাজ ইসলামের মূল ধারার পরম শিক্ষা। এ শিক্ষা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে মসজিদে মসজিদে দাওয়াতে খায়র বা কল্যাণময় জীবনচর্চার প্রশিক্ষণ গ্রহণে সকলকে ব্রতী হতে হবে। জুমার নামাজের আগে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন এমপি। তিনি বলেন, পারিবারিকভাবে আমার পিতা-মাতা সিলসিলায়ে আলীয়া কাদেরিয়ার অনুসারী। আমিও গভীরভাবে জড়িত, এজন্য আজকের নামাজে শরীক হয়েছি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে সারা বাংলাদেশে প্রত্যেক উপজেলায় একটি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছেন। এর পাশাপাশি সেখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকাÐ চালু করেছেন।
তিনি বলেন, কিছু নামধারী মাওলানা জঙ্গী তৎপরাতায় লিপ্ত হয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। যারা অলি-আউলিয়াদের মানেন না, তারা ইসলামের মূলধারায় নেই।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন জামেয়ার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান, আল্লামা মুফতি কাজী মুহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সিরাজুল হক, এ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারী এসএম. গিয়াস উদ্দিন শাকের, ফাইন্যানস সেক্রেটারি মুহাম্মদ এনামুল হক বাচ্চু, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মুহাম্মদ মাহাবুবুল আলম, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি প্রফেসর কাজী শামসুর রহমান, কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ (কমিশনার), আনজুমান ট্রাস্ট’র সদস্য কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাহাজাদ ইবনে দিদার, আনোয়ারুল হক, শেখ নাসির উদ্দিন আহমেদ, তৈয়বুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, আবদুল হামিদ, নূর মোহাম্মদ কন্ট্রাক্টর, আবদুল কাদির খোকন, তসকীর আহমেদ, নুরুল আমিন, আবদুল হাই মাসুম, কমরুদ্দিন সবুর, হাসানুর রশীদ রিপন, হোসেন খোকন, ওরস সাব কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মনোয়ার হোসেন মুনèা, গাউসিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় পর্ষদের যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার, মাহবুব খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম মাহবুব এলাহী সিকদার, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, আরইউ চৌধুরী শাহীন, ছাবের আহমেদ, এরশাদ খতিবী, মাওলানা মুহাম্মদ নুরুদ্দিন, উত্তর জেলার সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সম্পাদক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জামেয়ার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ড. আ ত ম লিয়াকত আলীসহ হাজারো পীরভাই, ভক্ত, উম্মতী মুহাম্মদী (দ.)। পরে আল্লামা সাবির শাহ্্ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন। বিজ্ঞপ্তি