প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দেয়ায় আটকে দিলেন ভর্তি

38

শিক্ষা বোর্ডে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করায় অভিযোগকারীর দুই সন্তানকে ভর্তি না করানোর অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়। এই ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রতন কুমার বিশ্বাসকে তদন্ত করে নিষ্পত্তিপূর্বক অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও নুরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমান।
উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা জুনাইদুল হক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দায়ের করা অভিযোগে দাবি করেন, তার সন্তান রাগিব মাহাতাব সানজিদুল কবির ও কানিজ আফরুজা সানবিন হক সাহারবিল বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে রাগিব গত বার্ষিক পরীক্ষায় ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে মেধা তালিকায় ১৯ নম্বরে স্থান করে নিয়ে সপ্তম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয় এবং কানিজ আফরুজা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষায় ৪.৫৭ পেয়ে অষ্টম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। চলতি বছরের শুরুতে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পুন:ভর্তি ও সরকারিভাবে দেয়া বিনামূল্যের বই বিতরণ করা হলেও তার দুই সন্তানকে পুন:ভর্তির সুযোগ দিচ্ছেন না বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। দেয়া হচ্ছে না সরকারিভাবে বিনামূল্যের বইও।
বাদি জুনাইদুল হক আরও অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপারে ২০১৮ সালের ১০ জুন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় প্রধান শিক্ষক ক্ষোভ ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আমার দুই সন্তানকে স্কুলে ভর্তি নিচ্ছেন না। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বর্তমানে নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করলেও আমার দুই সন্তান স্কুলে যেতে না পেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে নিরুপায় হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ আবেদন করেছেন তিনি।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে নিষ্পত্তিপূর্বক অবহিত করার উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রতন কুমার বিশ্বাসকে নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও নুরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমান।