পোশাকশিল্পে দক্ষ শ্রম ব্যবস্থাপনায় উন্নত কর্মপরিবেশ জরুরি

25

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিজিএমইএ ও আইএলও যৌথ প্রকল্পের অধীনে তৈরি পোশাক শিল্পের Social Dialogue and Industrial Relations (SDIR) এর উপর দুইদিনব্যাপী দুটি ব্যাচের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সমাপ্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় খুলশী বিজিএমইএ ভবনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী ও বিজিএমইএর পরিচালক এম আহসানুল হক। বিজিএমইএ কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, পোশাকশিল্প একটি শ্রমঘন শিল্প, যার ৮০ শতাংশ দেশের প্রান্তিক গোষ্ঠি থেকে উঠে আসা অবহেলিত মহিলা। কিন্তু এ শিল্পের মাধ্যমে এদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান পরির্বতন হয়েছে, ক্ষমতায়ন হয়েছে, কর্মসংস্থান হয়েছে, সর্বোপরি দেশের শিল্পায়নে যুগান্তকারী অবদান রাখছে। তবে শ্রমঘন হওয়ায় এ শিল্পে মাঝে মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টির পাঁয়তারা হয়। দেশি-বিদেশি নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে এ শিল্পের সুনাম ক্ষুণœ হয়। তিনি শ্রমিক-কর্মচারী ও প্রশিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা প্রদানের আহব্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ শিল্পের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক, করোনাকালীন সময়ে বিশেষ প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ শিল্পের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সহায়তা করেছেন। এ জন্য তিনি বিজিএমইএর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সরকার ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সহায়তায় তৈরি পোশাকশিল্পে দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা ও শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মান উন্নয়নে বিজিএমইএ সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা চালায় মর্মে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, এ সেশনে চট্টগ্রামের ১৭টি গার্মেন্টস্্ প্রতিষ্ঠানের ৬৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। বিজিএমইএ সূচনালগ্ন থেকে এ সেক্টরকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিরাপদ ও টেকসই কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।