পুরনো ভাড়ায় চলবে গণপরিবহন, যত আসন তত যাত্রীর দাবি মালিকদের

25

পূর্বদেশ অনলাইন
নতুন বিধিনিষেধ চলাকালীন পুরনো ভাড়ায় গণপরিবহন পরিচালনা করতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তবে বাড়া বৃদ্ধি না করলেও মালিক পক্ষ যত আসন তত যাত্রী পরিবহনের অনুমতি চেয়েছে। বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের সঙ্গে মালিক পক্ষের এ নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সড়কে বাস চলাচল করবে। তবে এক্ষেত্রে নতুনভাবে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। বিদ্যমান ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করবেন বাস মালিকরা।

তবে এ নির্দেশনার পর থেকেই ভাড়া বাড়ানো বা যত আসন তত যাত্রীর দাবি জানায় মালিক পক্ষ। তাদের মতে, বিপুলসংখ্যক নগরবাসীর এই শহরে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করলে গণপরিবহন সংকটে পড়তে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে যত আসন তত যাত্রী পরিবহনের অনুমতি চেয়েছেন তারা।

আজকের বৈঠক প্রসঙ্গে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের প্রস্তাব– বিধিনিষেধ চলাকালে বাস ও মিনিবাসে শতভাগ যাত্রী পরিবহন করা হলে মালিকদের লোকসান গুনতে হবে না। ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করা হলে রাজধানীতে পরিবহন সংকট চরম আকার ধারণ করবে ও যাত্রীদের দুর্ভোগ সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছাবে। এ অবস্থায় বাস ও বাস টার্মিনালে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এখন যেভাবে বাস ও মিনিবাসে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে সেভাবে শতভাগ যাত্রী পরিবহন করা উচিত। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের এ প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের কাছে পাঠানো হবে। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তবে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের মতে, ‘এখন বাস ভাড়া বাড়ানো যৌক্তিক হবে না। কারণ গত নভেম্বর মাসে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। তারা সবশেষে একমত হয়েছেন, ভাড়া বাড়ানো হলে যাত্রীদের ওপর বেশি চাপ তৈরি করা হবে এবং এটি এ মুহূর্তে বাড়ানো যৌক্তিক হবে না।’

এদিকে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘আমরা ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে না। তবে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করলে বিপুলসংখ্যক নগরবাসী গণপরিবহন সংকটে পড়বে। এমনিতেই কর্মদিবসে সকালের অফিস সময়ে সাধারণ মানুষ পরিবহন সংকটে পড়ে যায়। এ অবস্থায় অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করলে সংকট আরও বাড়তে পারে। এজন্য আমরা সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে যত আসন তত যাত্রী পরিবহনের অনুমতি চেয়েছি।’