পিএইচপি-পসকোর স্বপ্নের বাড়ি পেলো ১১ পরিবার

41

স্বামী পরিত্যাক্ত আলেয়া বেগম (৫০) গত ২২ বছর ধরে সংসার বাঁচাতে যুদ্ধ করেছেন ঝড়-বৃষ্টি ও পরিবেশের সাথে। এরমধ্যে একমাত্র মেয়ে জেসমিন আক্তারকে বিয়েও দেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তার স্বামী মারা যান। অসহায় হয়ে পড়েন আলেয়া। দুই চোখে ঘিরে আসে অন্ধকার। উপায় না দেখে গ্রামের অনেকের কাছে থেকে ঋণও নেন তিনি। ঋণের টাকায় মা মেয়ের হাত কাজ করে সামান্য আয় করলেও সে আয়ের টাকায় কিস্তি পরিশোধ তো দূরের কথা দুই বেলা দুমুঠো ভাতই জুটে না তাদের।
দুই মাস আগে হঠাৎ একদিন তাদের কঙ্কালসার ঘর দেখতে আসেন পিএইচপি ফ্যামিলি ও পসকো ইন্টারন্যাশনালের লোকজন। তারা আশ্বাস দিলেন পাকা বাড়ি করে দেওয়ার। প্রথমে আলেয়া বেগম বিশ্বাস হয়নি। পরে যখন তার বন্দোবস্ত পাওয়া ২ গন্ডা জমিতে ঘর তৈরির কাজ শুরু হয় তখন বিশ্বাস করেন তিনি পাকা বাড়ি পাবেন। কথাগুলো বলছিলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ৪নং চর ওয়াপদা ইউনিয়নের বাসিন্দা আলেয়া বেগম। গত সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান পসকো ইন্টারন্যাশনাল ও পিএইচপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল হাসেনের প্রচেষ্টায় নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ৪ নং চর-ওয়াপদা ইউনিয়নের ১১ পাকা ঘর তৈরি করে হতদরিদ্র পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পিএইচপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, পসকো’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আমি যৌথভাবে এলাকাটি পরিদর্শন করি ও সেখানকার মানুষের দুরবস্থা দেখে আমরা হতাশ হই এবং মানবিক বিবেচনায় চরের বাসিন্দাদের ক্রমানয়ে ঘর তৈরি করার মনস্থির করি। বিজ্ঞপ্তি