পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে : বীর বাহাদুর

6

বান্দরবান প্রতিনিধি

মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে বান্দরবানে শুরু হয়েছে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় স্থানীয় রাজার মাঠ থেকে সাংগ্রাই মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় ১২টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টি সম্প্রদায় পৃথক পৃথক শোভাযাত্রা বের করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির নেতৃত্বে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের শত শত নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী এবং পাহাড়ি নেতারা শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এ সভাকক্ষে বয়োজোষ্ট পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ীদের ৩ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে।
এদিকে প্রতিবছরই বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করে মাহা সাংগ্রাইং উৎসব। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার ১১টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টির পাহাড়ি জাতিসত্ত্বার মধ্যে মারমা জনগোষ্ঠী সাংগ্রাই নামে এ উৎসব পালন করে। করোনার কারণে গেল দুই বছর উৎসব পালন করতে না পারলেও এই বছর পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের আগমনে বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায় নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ব্যাপক আয়োজন করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, বান্দরবান একটি সম্প্রীতির জেলা। বাংলা নববর্ষের পাশাপাশি পার্বত্য জেলার সকল সম্প্রদায় সাংগ্রাই উৎসব মিলেমিশে এবং শান্তিপূর্ণভাবে উপভোগ করে। ধর্ম যার যার আনন্দ উৎসব সবার। পাহাড়ি-বাঙালির যেই সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে একে অপরের মঙ্গল কামনা করি।
অপরদিকে সাংগ্রাইং উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি থেওয়াং (হ্লাএমং) জানান, গতকাল বুধবার সকালে রাজার মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে এবং শোভাযাত্রা শেষে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১৪ এপ্রিল সকালে মিনি ম্যারাথন দৌঁড়, বিকেলে বুদ্ধমুর্তি স্মান, রাতব্যাপী পিঠা তৈরি উৎসব, ১৫ এপ্রিল বিকেলে বান্দরবানের উজানীপাড়া সাঙ্গু নদীর চরে মৈত্রী পানি বর্ষণ, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, তৈলাক্ত বাঁশ আরোহন ও সবশেষে ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এই সাংগ্রাই উৎসবের।