নানিয়ারচরে আনসার ভিডিপির পিসির বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

94

জেলার নানিয়ারচরে আনসার ভিডিপির পিসি নূরুল হক ও মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিয়োগ উঠেছে। তারা দুজনে টাকার বিনিময়ে আনসার ভিডিপিতে চাকরি দেয় স্থানীয় লোকজনদের। এই দুই পিসি উপজেলা আনসার ভিডিপি কমান্ডার অজিত কুমার চাকমা ও জেলা আনসার ভিডিপির এ্যাডজুটেন্ট আবদুল আউয়ালকে বস করে চাকরি দেওয়ার নামে এসব অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছে। অভিযোগকারিরা বলেন, নূরুল হক পিসি ও মনিরুল পিসি ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে গোটা উপজেলায় আনসার ভিডিপিতে একটি ত্রাসের রাজ্য কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা দুজনে যা মনে চায় তাই করছেন। সম্প্রতি লিটন মিয়াকে ও মো.কাইয়ুমকে বাতিল করে এ স্থানে মোটা অংকের বিনিময়ে অন্য আরেক জনকে নিয়োগ দিয়েছেন।গোটা নানিয়ারচর আনসার ভিডিপিকে তছনছ করেফেলছে এই দুই পিসি। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বিএনপি জামায়াত বানিয়ে মামলা হামলার ভয় দেখায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ চাকরির জন্য ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে নূরুল হক ও মনিরুল। দীর্ঘ ৮-৯ মাস হলো টাকা নিয়েছে কিন্তু চাকরি দিবে বলে এখনো ঘুরাঘুরি করছে। কিছু বললে উল্টো ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বিস্তার করে আমাদের হুমকি দমকি দেয়। আলা উদ্দিন নামের এক যুবক বলেন, সে ৯ মাস আগে নূরুল হকের মাধ্যমে নুরুল হককে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন চাকরির জন্য। চাকরিতো দূরের কথা এখন আসল টাকা ও পাচ্ছেনা সে। এসব অনিয়ম দূর্নীতির সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জড়িত তারা। মো. লিটন মিয়া বলেন,আমাকে স্বারক নং-৪৪.০৩.২০৮৪.০০২.৫১.০৫২.১৯/১১২৮ তারিখ-৩জুন ২০১৯ মূলে জেলা আনসার ভিডিপি এ্যাজুটেন্ট হিল ভিডিপি ১৩নং ভিডিপি প্লাটুনে এপিসি পদে নিয়োগ প্রদান করেন। মোটা অংকের টাকা নিয়ে একই স্থানে মিন্টু মিয়াকে এপিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব জালিয়াতি করে নুরুল হক ও মনিরুল ইসলাম এসব অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত। তারা যার কাছে টাকা বেশী পাবে তাকে চাকরি দেয়। আর এসব অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত জেলা আনসার ভিডিপি এ্যাজুটেন্ট আবদুল আউয়াল। টাকার বিনিময়ে অফিস আদেশ উল্টে যায় রাতারাতি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন দলের পিসি নুরুল হক ও মনিরুল ইসলাম অনিয়ম দুর্নীতির কথা অস্বীকার করে।
পরে আবার বিভিন্ন লোকজন ধরে এই প্রতিবেদককে ফোনে নিউজ না উঠানোর জন্য আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করে। পত্রিকায় রিপোর্ট না করার জন্য মনিরুল ও নুরুল হক বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির শুরু করেছেন। এ ব্যাপারে জেলা আনসার ভিডিপির এ্যাডজুটেন্ট মো.আবদুল আউয়ালের কাছ থেকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি প্রথমেই এই প্রতিবেদককে পরিচয় দেন তিনি আওয়ামীলীগের লোক। পরে প্রশ্নের জবাব শুনে বলেন, অভিযোগকারিকে আমার কাছে পাঠিয়ে দেন আমি বিষয়টি ভাল ভাবে দেখব। তিনি বলেন,অভিযোগ সত্য হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এই কর্মকর্তার ফোনালাপে বুঝা গেছে,আনসার ভিডিপিতে নয়ছয় কিছু একটা আছে। উপজেলা আনসার ভিডিপি কমান্ডার অজিত কুমার চাকমা মুঠোফোনে বলেন, তিনি কোন অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত নহে। এসব তাদের স্থানীয় দ্ধন্ধ ও জায়-জামেলা। এব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। আর নিয়োগ সংক্রান্ত সকল ফায়সালা হয় জেলা অফিস থেকে। এসব আমি কি ভাবে বলবো।