‘ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা, কমিটি হবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে’

5

ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার মাধ্যমে দেশে সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মন্ত্রী গতকাল রোববার সচিবালয় থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট ও মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অপতৎপরতা বন্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি/সরকারি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ধর্মের মধ্যে বিভেদ ও উগ্রবাদ তৈরি করে দেশে অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে তাদেরকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারসহ তৃণমূল নেতাকর্মী, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ সব ধর্মের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করতে হবে। সমাজের মধ্যে কারা বিভিন্ন অপকর্ম, অপপ্রচার চালায় তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এই কমিটি কাজ করবে। খবর বাংলানিউজের।
ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিতে হবে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং জনগণের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির জন্য একটি মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক অবস্থানে থেকে এসব দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের কল্যাণের জন্য ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখা স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। হিন্দু-মুসলিমকে মুখোমুখি করে কেউ যাতে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে। মসজিদ-মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাশানালয়গুলোতে নজর রাখতে হবে যাতে কেউ সুযোগ না নিতে পারে সেদিকে সকল জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার আহব্বান জানান তিনি।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সকল সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জেলা প্রশাসক, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।