দ্বিতীয় দিনে মেট্রোরেলের আয় কমলো

17

পূর্বদেশ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকে গণমানুষের জন্য উন্মুক্ত হয় মেট্রোরেল। তবে প্রথমদিনে যেভাবে মেট্রোরেল থেকে আয় হয়েছে, দ্বিতীয় দিনে তার অর্ধেকও হয়নি। প্রথমদিনের থেকে দ্বিতীয়দিনে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪০ টাকা আয় কমেছে। অথচ প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের ট্রিপ সংখ্যা ছিল একই, ৫০টি। মেট্রোরেল ঢাকার গণপরিবহনব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা করেছে। রাজধানীতে প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করেছে। যানজটে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী দেখছে ব্যস্ত সড়কের মধ্যে পিলার বসিয়ে তৈরি উড়ালপথে ছুটে চলছে ট্রেন। মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে উত্তরা থেকে আগারগাঁও চলাচল করছে নগরবাসী।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, প্রথম দিন সিঙ্গেল টিকিট বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৯৯৬টি। প্রতি টিকিটের দাম ৬০ টাকা। মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য ৩০৪টি এমআরটি পাস বিক্রি হয়। প্রতিটি পাসের দাম ৫০০ টাকা। এর মধ্যে কার্ডের জামানত ২০০ টাকা, বাকি ৩০০ টাকা ব্যালান্স, যা দিয়ে ভ্রমণ করা যাবে। আর কার্ড জমা দিলে জামানতের টাকা ফেরত দেবে সরকার। সব মিলিয়ে প্রথম দিনে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫২০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। তবে দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) মাত্র ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। অথচ দুই দিনই ট্রিপ সংখ্যা ছিল ৫০টি। অর্থাৎ আগারগাঁও থেকে উত্তরা স্টেশনে ২৫ বার এবং উত্তরা থেকে আগারগাঁও সমানসংখ্যক বার, মোট ৫০টি ট্রিপ হয়েছে আজ। প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে ট্রিপ সংখ্যা একই হলেও ভাড়া কমেছে অনেক। অথচ মেট্রোরেলে চড়তে না পেরে হাজারো মানুষ বাড়ি ফিরে গেছে।
আয় কমে যাওয়া প্রসঙ্গে ডিএমটিসিএল জানায়, প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে ট্রিপ সংখ্যা একই ছিল অথচ সরকারের আয় হয়েছে অনেক কম। এর প্রধান কারণ টিকিট বিক্রি মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়া। অনেকে টিকিট বিক্রয় মেশিনে ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোট দিয়েছেন, ফলে মেশিন আর টাকা ফেরত দেয়নি। অনেকে ছেড়া-ফাঁটা ও পুরাতন নোট দিয়েছেন, এতে করে মেশিন রিড আউট করতে পারেনি। এসব কারণে অনেক কোচ ফাঁকা গেছে, ফলে আয়ও কম হয়েছে।