দেবে গেলো মহাসড়ক ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা

5

মো. আবু তালেব, হাটহাজারী

দুই পার্বত্য জেলা পৌঁছার অন্যতম চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি মহাসড়কের হাটহাজারী উপজেলার বড়দিঘির পাড় সংলগ্ন এলাকায় সড়কের পশ্চিম পাশের একটি অংশ দেবে গেছে। তবে, দেবে যাওয়া সড়কটি সংস্কারে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উক্ত মহাসড়কের বড়দীঘির পাড় এলাকার ও চৌধুরী হাটের মধ্যবর্তী স্থানে সড়কের পশ্চিম পাশের একটি অংশ প্রায় ১০ থেকে ১৫ ইঞ্চি পযন্ত দেবে গেছে। বিগত ৩/৪দিন ধরে এরমধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এমন অবস্থা চলতে থাকলেও এ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তবে সড়ক বিভাগ বলছে, চলতি বছরে মহাসড়কটির দেবে যাওয়া অংশটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। গেল ঈদের আগেও মহাসড়কের ওই অংশে সর্বশেষ সংস্কার কাজ হয়েছে। তবুও কেন বারবার এই অংশটি দেবে যাচ্ছে তা তাদের বোধগম্য নয়। উক্ত এলাকার বাসিন্দা হাসান মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, বেশ কয়েকদিন যাবৎ সড়কের ওই অংশ দেবে আছে। অথচ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি সড়ক বিভাগ। অথচ এমতাবস্থায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। তবে রাতের বেলায় দুর্ঘটনার পরিমান বেড়ে যায়। মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিদিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি ছাড়াও ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়াসহ প্রায় ৩০টি রোডের হাজার হাজার যানবাহনে করে লক্ষাধিক যাত্রীসাধারণ যাতায়াত করে থাকে। তবে, দেবে যাওয়া অংশ দ্রুত মেরামত করা না হলে, যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাঙামাটিগামী বাসের চালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কের যে অবস্থা তাতে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা বড় বিপদের মুখে আছি। গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের ওই অংশটি দ্রæত সংস্কার করা জরুরি হলেও কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে যেন কোনো মাথা ব্যথা নেই।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সওজ হাটহাজারীর সহকারী প্রকৌশলী মো. এহসান বলেন, চলতি বছরে মহাসড়কটির দেবে যাওয়া অংশটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। তবুও কেন বারবার এই অংশটি দেবে যাচ্ছে তা তাদের বোধগম্য নয়। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মহাসড়কটির দেবে যাওয়া অংশটি সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলম জানান, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। পাশাপাশি মহসড়কের দেবে যাওয়া অংশটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলে দিচ্ছি।