দুষ্কৃতকারীদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেন : সাংসদ ইব্রাহিম

9

পূর্বদেশ ডেস্ক

দুষ্কৃতকারীদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার নির্দেশ দিতে শোনা গেছে নোয়াখালীর সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমকে; এ জন্য প্রয়োজনে ‘হুকুমের আসামি’ হতেও রাজি তিনি।
সোনাইমুড়ি উপজেলার মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দেওটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ির একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য এই নির্দেশ দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সংসদ সদস্য দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি হুকুম দিয়া দিচ্ছি সমস্ত দুষ্কৃতকারীদেরকে গণপিটুনি দিয়া মেরে ফেলাই দিলে কিচ্ছু হবে না। আপনারা যদি পারেন গণপিটুনি দিয়া মেরে ফেলান। যদি কেউ আসামি করে, আমি মামলার এক নম্বর আসামি হব। যান, হুকুম দিয়া গেছি এমপি হিসেবে। যান, আমি আপনাদেরকে কথা দিয়া গেলাম’।
বক্তব্য বোঝা গেছে কি-না সেটাও সংসদ সদস্য এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের জিজ্ঞাসা করেন। ইব্রাহিম বলেন, ‘আপনারা কি আমার কথা বুঝতে পারছেন? যদি পুলিশ না পারে আমি আপনাদেরকেও বলে গেলাম যে, আপনারা এ সমস্ত দুষ্কৃতকারীদেরকে যারা সমাজের মানুষকে ঘুম হারাম করে দিচ্ছে, যারা সমাজের মানুষকে অত্যাচার করতেছে, এদেরকে আপনারা পিডি মারি ফেলেন; কিচ্ছু হবে না। যদি আসামি হতে হয় আমি আসামি হয়ে যাব, আমি আপনাদেরকে ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি’।
একজন আইনপ্রণেতা হিসেবে প্রকাশ্য সভায় এমন বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এইচ এম ইব্রাহিম গতকাল শনিবার দুপুরে বলেন, ‘আমি আসলে দুষ্কৃতকারীদের সাবধান এবং মানুষকে সচেতন করার জন্য কিছু কথা বলেছি’। তবে এভাবে কথা বলা ঠিক হয়নি বলেও মন্তব্য করেন এই সংসদ সদস্য।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ি থানার ওসি হারুন উর রশিদ বলেন, ‘এদিন আমি সংসদ সদস্যের অন্য একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু সেখানে ছিলাম না। তিনি আইনপ্রণেতা। তাদের বক্তব্য ধরে মন্তব্য করা উচিত নয়’।
স্মরণসভায় দেওটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন শাকিল স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। খবর বিডিনিউজের