ডেঙ্গু-চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই

8

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু চিকনগুনিয়া প্রতিরোধের মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা প্রকাশ্য স্থানে ও নালা নর্দমার স্তুপকৃত ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করে যাচ্ছে। কিন্তু এভাবেই মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা সম্ভব নয়। মশার প্রার্দূভাব থেকে মুক্তি পেতে নগরবাসির মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতাও জরুরী। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগরীর গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি বলেন, সমন্বিত মশক নিধন ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রথম পদক্ষেপটিই হচ্ছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থাপনা। আমাদের চারপাশের যেখানে এডিস মশা জন্মানোর লক্ষন দেখা যায় সেসব স্থান সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে। আবহাওয়াগত কারণে নগরীতে এখন মশার উপদ্রব বেড়েছে। এই ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের ঝোঁপঝাড় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও নালা-নর্দমায় যেখানে মশা জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হবে।তিনি আরো বলেন, আমাদের যে পরিমান মশা ধ্বংসকারী ওষুধ আছে এই ওষুধের সদব্যবহারের মাধ্যমে প্রাপ্ত বয়স্ক মশা নিধনের জন্য এলডিসাইড এবং মশার ডিম বা লার্ভা ধ্বংসের জন্য লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হবে। বৃহস্পতিবার সকালে চকবাজার ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ ক্যাম্পাস, কলেজ রোড, হাফেজ টাওয়ার, মরিয়ম হাউস ও দেবপাহাড় এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রমে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মারফা বেগম নেলী ও আকবর আলী, প্রনব শর্মা প্রমুখ।