ডিজিটাল হচ্ছে ২৮ পাড়াকেন্দ্র

13

পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৮টি দুর্গম পাড়া কেন্দ্রকে প্রাথমিক স্তরে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনা হচ্ছে। এই লক্ষ্যে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গতকাল সোমবার এ চুক্তি সই হয়। অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য ডিজিটাল পাড়া কেন্দ্রকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন। খবর বাংলানিউজের
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মানবসম্পদকে ডিজিটাল দক্ষতা দিতে না পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তৈরি হবে না। এই লক্ষ্যে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে ডিজিটাল শিক্ষা অপরিহার্য। পাড়া কেন্দ্র ও প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল করতে পারলে আমরা বৈষম্যহীন ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।
তিনি ডিজিটাল শিক্ষা প্রসারের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট একটি অপরিহার্য অংশ উল্লেখ করে বলেন, পাড়া কেন্দ্র ডিজিটাল করার কর্মসূচি গোটা দেশের জন্য আমূল রূপান্তরের যাত্রা।
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রা বেগবান করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ডিজিটাল করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ডিজিটাল করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ ধরনের সমঝোতা স্মারক সই হবে।
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, সবার সহযোগিতা থাকলে ডিজিটাল শিক্ষা চালু করা কঠিন হবে না। ডিজিটাল শিক্ষা পরিচালনার জন্য ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। সামান্য প্রশিক্ষণ পেলে ডিজিটাল ক্লাস পরিচালনা সম্ভব।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, মোস্তাফা জব্বার ২০০৭ সালে পাড়াকেন্দ্র দেখে তাকে ডিজিটাল করার বিষয় নিয়ে লিখেছিলেন।
এসময় মন্ত্রী রাঙামাটিতে ২০০১ সালে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল চালু করার পাশাপাশি চাকমা সফটওয়্যার তৈরির স্মৃতিকথাও স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তফা কামাল, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহসিনুল আলম এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক বদিউর রহমান বক্তব্য রাখেন।