জোড়া জলহস্তী পাওয়ার আশা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার

0
জোড়া জলহস্তী পাওয়ার আশা  চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার

পূর্বদেশ ডেস্ক

ঢাকা চিড়িয়াখানার কাছে জলহস্তী অনুদান চেয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। জলহস্তীর জন্য এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে জলাধার। অনুদান হিসেবে চাওয়া এক জোড়া জলহস্তীর জন্য আগাম এমন আয়োজন। সে আশা পূরণ হবে বলেই মনে করছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, গত তিন দশক আগে গড়ে ওঠা জরাজীর্ণ এ চিড়িয়াখানাকে সম্প্রতি নতুন রূপে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। গত কয়েক বছরে সংস্কারের পাশাপাশি আনা হয় নানা প্রাণি। এবার ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া জলহস্তী অনুদান চেয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চিড়িয়াখানার পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কিউরেটর ও প্রাণি চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনে জলহস্তী আনার পরিকল্পনা করে আগেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চিড়িয়াখানার উত্তর-পশ্চিম কোণে জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে একসঙ্গে অন্তত চারটি জলহস্তী রাখা যাবে’।
এর আগে গত নভেম্বর মাসে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক এবং কক্সবাজারের ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে এক জোড়া সিংহ-সিংহী চেয়ে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান জানান, অনুদান হিসেবে দুটি প্রাণির বিষয়ে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের আশ্বাস পাওয়া গেছে। গত ২১ ডিসেম্বর পরিবেশ মন্ত্রী মহোদয় চট্টগ্রামে এসেছিলেন। উনার সাথে কথা বলেছি। মন্ত্রী মহোদয় আশ্বস্ত করেছেন। আশা করছি সিংহ এবং জলহস্তী দুটোই পাব।’
এ বিষয়ে দ্রুত নির্দেশনা পেতে আগামী সপ্তাহে চট্টগ্রাম থেকে একজন কর্মকর্তা পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে যাবেন বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
অনেকদিন ধরেই বাঘ এবং সিংহ শূন্য ছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। এছাড়া সঙ্গীহীন ছিল অনেক প্রাণি। ২০১৬ সালে এসব প্রাণির জন্য সঙ্গী আনার প্রক্রিয়া শুরু করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।সেবছর ডিসেম্বর মাসে চিড়িয়াখানার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৩ লাখ টাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একটি বাঘ ও বাঘিনী আনা হয়। যেখান থেকে বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক ডজনে।
পাশাপাশি চিড়িয়াখানার দুটি সিংহীর একটিকে রংপুর চিড়িয়াখানায় পাঠিয়ে সেখান থেকে একটি সিংহ আনা হয়। বয়স হয়ে যাওয়ায় এ সিংহ জুটি প্রজনন করতে পারেনি। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা যেন সিংহ শূন্য হয়ে না পড়ে তাই এখনই উদ্যোগী হয়ে এক জোড়া সিংহ-সিংহী চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় কর্তৃপক্ষ। খবর বিডিনিউজের
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৬৬ প্রজাতির ছয় শতাধিক পশু-পাখি রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দুর্লভ সাদা বাঘসহ এক ডজন বাঘ এবং জিরাফ।
নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ১৯৮৯ সালে গড়ে ওঠে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। সরকারি আর্থিক অনুদান ছাড়াই টিকিট বিক্রির আয় থেকেই প্রাণি সংগ্রহ, উন্নয়ন এবং কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর দর্শনার্থী এই চিড়িয়াখানায় আসেন।