চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের সমস্যা সমাধানের দাবি

26

বিভিন্ন দাবি নিয়ে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গতকাল বৃহস্পতিবার মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে তারা মেয়রকে জানান, শত বছরের প্রাচীন ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জ এই একবিংশ শতাব্দিতে এসেও নানা সমস্যায় জর্জরিত। বিভিন্ন সময় সরকারের উর্ধ্বতন মহল এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়েও সমস্যার সুরাহা হয়নি। আপনি নগরের পিতা। তাই আপনার কাছে আমাদের আবদারও একটু বেশি। ব্যবসায়ীদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেল।
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগ গত ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে মোটরযান এক্সেল লোড ( ওজনসীমা ) নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করে। পরবর্তীতে ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি এবং সীতাকুন্ডের দারোগাহাটে স্থাপিত ওজন স্কেলের কারণে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা ছয় চাকার একটি ট্রাক কিংবা কাভার্ড ভ্যানে ১৩ টনের বেশি পণ্য পরিবহন করতে পারছেন না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়া দেশের আর কোনো মহাসড়কে ওজন স্কেল নেই। ফলে চট্টমের ব্যবসায়ীরা প্রায় ৩ বছর যাবৎ বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এক দেশে কখনো দুই আইন চলতে পারে না।
বিষয়টি নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি দেয়ার কথা জানিয়ে তারা বলেন, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন শত শত ক্রেতা এবং শ্রমিকের আনাগোনা থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এখানে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য কোনো গণশৌচাগার ( পাবলিক টয়লেট ) নেই। এছাড়া নির্মল বিনোদনের অভাবও রয়েছে। আমাদের একটা প্রস্তাবনা হলো – মিয়াখাননগর পুল থেকে ফইল্লার পুল পর্যন্ত চাক্তাই খালের একপাশের যে সড়কটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সেটি সংস্কার করে যদি আলোকসজ্জা, বসার ব্যবস্থা এবং বৃক্ষরোপণ করে জনগণের চলাচলের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা পড়ন্ত বিকেলে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন। এছাড়া খাতুনগঞ্জে কোনো পুলিশ ফাঁড়ি নেই। অনেক সময় এখানে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। কারণ অনেক ব্যবসায়ী নগদ টাকা নিয়ে পণ্য কিনতে আসেন। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে খাতুনগঞ্জে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা আবশ্যক। অন্যদিকে শ্রমিকের জন্য কোনো বিশ্রামাগার নেই। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পরিবহন শ্রমিকরা এসে বিশ্রাম নিতে পারে না। এতে সড়ক দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এছাড়া চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে সভা / সেমিনার করার জন্য কোন মিলনায়তন নেই জানিয়ে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি মিলনায়তন করে দেয়ারও দাবি জানান। দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসায় প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে স্থাপনের দাবিও জানান ।