চকরিয়ার সিকদার পাড়ায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি

6

চকরিয়া প্রতিনিধি

চকরিয়ায় একটি বসতবাড়িতে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। গত রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের মছন সিকদার পাড়া এলাকার নূরুল আলম সওদাগরের বাড়িতে এ ডাকাতি সংগঠিত হয়। ডাকাতদলের সদস্যরা ঘরের লোহার দরজার তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ ডাকাতি সংগঠিত করে। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা আলমারি ভেঙ্গে নগদ সাড়ে ১৪ লাখ টাকা এবং ২০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাত কবলিত বাড়ির গৃহকর্তা নূরুল আলম সওদাগর জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে নিয়ে বাড়ির সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে যায়। এ সময় বাড়িতে তার কলেজ পড়–য়া এক নাতি ছিল। রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই ছেলেটি লোহার দরজায় তালবদ্ধ করে হারবাং বাজারের লন্ড্রিতে কাপড় নিয়ে যায়। তার পরপরই রাত ৯টার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
গৃহকর্তা নূরুল আলম সওদাগর আরও বলেন, ডাকাত দলের সদস্যরা ঘরের লোহার দরজার তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে সব আলমারির তালা ভেঙ্গে আমার স্ত্রী জাহানারা বেগমের পেনশনের টাকা, হজের জন্য রাখা টাকাসহ ১২ লাখ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকার এবং তার সরকারি চাকরীজীবী ছেলের নগদ আড়াই লাখ টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ব্যাংকার ছেলের স্ত্রীর ৬ ভরি স্বর্ণালংকারসহ অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এলাকার স্থানীয় লোকজন জানায়, ডাকাতি সংগঠিত হওয়ার সময় ঘরের দরজা এবং আলমারি ভাঙ্গার শব্দ শুনতে পেলেও বাড়ির লোকজন কোন কাজ করছে মনে করে তারা এগিয়ে আসেনি। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নূরুল আলম সওদাগরের নাতি বাজার থেকে ঘরে ফিরে দেখেন বাড়ির সব লুট হয়ে গেছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে চকরিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লন্ঠিত মালামালের বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, এটি ডাকাতি নয়, চুরির ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, চুরি ডাকাতি যাই হোক যেহেতু ভিকটিমের মালামাল খোয়া গেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে তা উদ্ধারের দায়িত্ব আমাদের উপর বর্তায়। পুলিশ সে অনুযায়ী মাঠে কাজ করছে। মালামাল খোয়া যাওয়া ব্যক্তির পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।