কোয়ারেন্টিনে তাবলিগের ১১ সদস্য

19

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নারায়নগঞ্জ থেকে ফেরত আসা তাবলিগ জামাতের ১১জন মুসল্লিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। গত সোমবার রাতে উখিয়ার ইনানী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে তাদের রাখা হয়।
এর আগে তাদের চকরিয়া পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে আটকানো হয়েছিল। তাদের সবার বাড়ি টেকনাফের শামলাপুর গ্রামে। এদের মধ্যে অধিকাংশ ছাত্র রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চত করে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, যেহেতু নারায়নগঞ্জ জেলা ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে তাই ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে তাদেরকে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এসময় তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কারো শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে, সে অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সুস্থ্যভাবে কোয়ারেন্টিন সময় শেষ হলে তারা বাড়ি ফিরে যাবে।
পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে পিকআপ ভ্যানে করে তাবলিগ জামাতের ১১জন মুসল্লি নারায়নগঞ্জ থেকে টেকনাফে আসছিলেন। এসময় চকরিয়া এলাকায় পুলিশের তল্লাশি চৌকির কাছে আসলে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মুসল্লিরা জানান, তারা নারায়নগঞ্জে থেকে তাবলিগ জামাত শেষে এলাকায় (টেকনাফে) ফিরছিলেন। গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে টেকনাফ থেকে কিছু ছাত্রসহ এই তাবলিগ জামাতটি বের হয়েছিল। বর্তমানে তাদের উখিয়ার ইনানী এলাকায় অবস্থিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এর আগে এই সেন্টারে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ফেরত ৬ রোহিঙ্গা কোয়ারেন্টিনে ছিল। তার মধ্যে একজন ভাল হয়ে ফিরে গেছে। এখন সেখানে মোট ১৬ জন রয়েছেন।
উখিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্জিনা আক্তার বলেন, নারায়নগঞ্জ থেকে টেকনাফে ফেরত আসা তাবলিগ জামাতের ১১ জন মুসল্লিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। সেখানে তাদের পর্যবেক্ষণ চলছে।
এদিকে কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন এর আগে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ফেরত ৬ রোহিঙ্গা কোয়ারেন্টিনে ছিল তাদের মধ্যে একজনের কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৫ রোহিঙ্গাসহ ১৬ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এছাড়া কক্সবাজারে এপর্যন্ত ৪৯২জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছিল তারমধ্যে ৪২৩ জন কোয়ারেন্টিন শেষ করেছে। বাকি ৬৯ জনের কোয়ারেন্টিন চলছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়–য়া জানান, কক্সবাজারে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের মধ্যে কারো কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া যায়নি। এর আগে গত ২৪ মার্চ ঢাকায় আইইডিসিআর ল্যাবে সৌদি ফেরত এক নারীর করোনা পজেটিভ পাওয়া গিয়েছিল তিনি চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।