কোরীয়দের চোখে জল দেখেছেন ট্রাম্প

30

দায়িত্বে থাকা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন। রবিবার ঐতিহাসিক এই ঘটনার জন্ম দিয়ে ওসান বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, সত্যি আমি উত্তর কোরিয়ায় পা রেখেছি এবং তারা এটাকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলছে। আমি খেয়াল করেছি, কোরিয়ার অনেক মানুষের চোখে জল ছিল।রবিবারই ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতার মধ্যকার বৈঠককে অভূতপূর্ব নাটক হিসেবে উল্লেখ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া সফরে ট্রাম্প সেখানে পৌঁছানোর আগে টুইটারে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী বেসামরিক এলাকায় ক্ষণিকের জন্য হলেও দেখা করার প্রস্তাব করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরে যেতে পারাটা তার জন্য অত্যন্ত সুখকর হতে পারে। সেই কথার ধারাবাহিকতায় উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিদেশ সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রায়শই বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়ে থাকেন; তবে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে তার ব্যতিক্রমটি লক্ষণীয়। এখানে রাস্তায় রাস্তায় পথে-প্যারেড ও মার্চে বেশির ভাগ বয়স্ক জনগণ ও রক্ষণশীল সক্রিয়তাবাদীরা যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা নেড়ে যুক্তরাষ্ট্রপন্থী স্লোগান তুলে থাকেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৭০ বছরের ঐক্য-জোট কিছুটা হলেও ¤øান হয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উত্তর কোরিয়ামুখী আচরণের কারণে।
রবিবার দুই কোরিয়ার সীমান্তে নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলে ট্রাম্প-কিমের সাক্ষাতের পর আলোচনায় বসেন দুই নেতা। ট্রাম্পের মেয়ে ও উপদেষ্টা ইভানকা ট্রাম্পসহ জামাতা জ্যারেড কুশনার সে সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কিম বলেন, তাদের এই সাক্ষাৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমাদের সব আলোচনায় এই সফর ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলে বিশ্বাস করি।’ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়া সীমান্তে পা রাখতে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন তিনি। কিমের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার সঙ্গের এই মুহূর্ত উপভোগ করছি আমি।’