কারও ফরমায়েশে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না : কাদের

9

পূর্বদেশ ডেস্ক

বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশিদের আসতে কোনো বাধা নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারও ফরমায়েশে এদেশে গণতন্ত্র চলবে না। গতকাল শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বস্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই। এই দেশে গণতন্ত্রের যা কিছু অর্জন, সবই কিন্তু আমাদের। পঁচাত্তর পরবর্তীতে শৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করার অগ্রভাগে ছিলেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। খবর বিডিনিউজের
বিদেশিদের কাছে বিএনপির ‘নালিশে’ কাজ হবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত¡াবধায়ক নিয়ে বিদেশিরাও কিছু বলেননি। কারণ তাদের দেশে তত্ত¡াবধায়ক নেই। বাংলাদেশে অহেতুক কেন তত্ত¡াবধায়কের নামে বিএনপির চক্রান্তমূলক রাজনীতি? আসলে বিএনপি সরকারের উন্নয়ন অর্জনে হেরে যাবে, তারা আজকে দিশেহারা। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে সেই বিদেশিরাও বিএনপির পক্ষে কিছুই বলে না।
আওয়ামী লীগ সবসময় ষড়যন্ত্রের শিকার হয় দাবি করে তিনি বলেন, আমরা ষড়যন্ত্র করি না কিন্তু ষড়যন্ত্রের শিকার হই। আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না, কিন্তু আমরা বারে বারে হত্যার শিকার হই। এটা হল বাংলাদেশের বাস্তবতা।
‘বিএনপির ঘরেই গণতন্ত্র নেই’ মন্তব্য করে কাদের বলেন, আজকে বিএনপি কখন যে কী বলে- নিজেদের ঘরটাতে তাদের গণতন্ত্র নেই। ফখরুল সাহেব নিজেরও হয়তো মনে নেই কবে তার সম্মেলন হয়েছে। আমি তিন তিনবার সম্মেলন করে সাধারণ সম্পাদক হয়ে গেলাম, কিন্তু বিএনপি? ঢাকা থেকে তৃণমূলে, আমাদের কয়েক হাজার সম্মেলন হয়ে গেছে, কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড ইউনিট পর্যন্ত। অথচ তাদের নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধি নেই। সেই সুযোগ তাদের দলে নেই, সহযোগীদের সম্মেলন নেই, ঘরে বসে কমিটি দিচ্ছে।
বিএনপির আমলে ভোট নিয়ে অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সকাল ১১টার মধ্যে ভোট শেষ। তাদের আমলে ১ কেটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার হয়েছে, যে জন্য ওয়ান ইলাভেন হয়েছে, এটা অন্যতম কারণ।
দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ কমিটির উদ্যোগে আয়োজতি শীতবস্ত্র বিতরণের এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপ কমিটিতে সর্বোচ্চ একশত জন করে রাখার কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এক সপ্তাহের মধ্যে উপ কমিটি গঠন করার কথা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু বক্তব্য রাখেন।