কাজাখস্তানে বিক্ষোভ দমনে সেনা পাঠালো রাশিয়া

14

 

চলমান বিক্ষোভ দমনে কাজাখস্তানে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাঠিয়েছে রাশিয়া। সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রটিতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিক্ষোভে সরকার পদত্যাগ করলেও পরিস্থিতি এখনও স্থিতিশীল হয়নি। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দেশটিতে সেনা পাঠালো রাশিয়া। পুলিশ জানায়, প্রধান শহর আলমাটিতে বেশ কয়েকজন ‘দাঙ্গাবাজ’-কে হত্যা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ১৩ জন সদস্য নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আলমাটি থেকে রয়টার্সের সাংবাদিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসিডেন্টের একটি বাসভবন ও মেয়রের কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা শহরটির বিমানবন্দরের দখল নিলেও পরে সেনা সদস্যরা নিয়ন্ত্রণে এনেছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় প্রাইভেটকারে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যবাহী গাড়ি আলমাটিতে প্রবেশ করে। বিক্ষোভস্থলের দিকে সেনারা এগিয়ে যাওয়ার সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে দিনের বাকি সময় মূল চত্বরটি শান্তিপূর্ণ ছিল। প্রায় ২০০-৩০০ বিক্ষোভকারী সেখানে অবস্থান করলেও আশপাশে কোনও সেনা উপস্থিতি ছিল না। বিক্ষোভ ঠেকাতে দেশজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ মধ্যরাতে রুশ মিত্রদের সহযোগিতা চেয়েছেন। মস্কোর নেতৃত্বে সাবেক সোভিয়েত দেশগুলেরা মধ্যে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির আওতায় এই সহযোগিতা চাওয়া হয়। তিনি এই বিক্ষোভের জন্য বিদেশে প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাসীরা ভবন ও অস্ত্র দখল করছে। তোকায়েভ বলেন, এটি আমাদের রাষ্ট্রের অখন্ডতাকে অবদমন করছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এটি আমাদের জনগণের ওপর হামলা। তারা জরুরি সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছেন। রুশ নেতৃত্বাধীন কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন-এর সচিবালয় জানিয়েছে, রাশিয়া, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, তাজিকিস্তান ও কিরগিজস্তানের সেনাদের কাজাখস্তানে পাঠানো হয়েছে। তবে সেনাদের সংখ্যার বিষয়ে কোনও তথ্য জানানো হয়নি।