কক্সবাজারে নামছে বন্যার পানি, ভেসে উঠছে ক্ষত

7

টানা কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণে কক্সবাজারে সৃষ্ট বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। এতে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ফসলির জমির পাশাপাশি গ্রামীণ সড়কগুলোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্গত এলাকায় বসবাসরত মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের অভাব। এ সংকটে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে পানি ও ত্রাণ সহায়তা। জেলায় কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি হন চকরিয়া, রামু, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ এবং উখিয়ার ৫১টি ইউনিয়নের আড়াই লাখ মানুষ। পানিতে ডুবে আছে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কয়েকটি স্থান। বন্যা দুর্গত এসব এলাকার মানুষরা পড়েছেন অবর্ণনীয় দুর্ভোগে।
এদিকে বন্যার্ত মানুষদের সহযোগিতার জন্য ছুটে চলছেন প্রশাসনের লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা। তারা রান্না করা খাবার এবং শুকনো খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন ঘরে ঘরে। একই সঙ্গে ত্রাণসামগ্রীও দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, বন্যা কবলিত এসব মানুষের জন্য ৩০০ মে. টন চাল ও নগদ ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে। সরকারের পাশাপাশি যার যার অবস্থান থেকে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে স্বাস্থ্যসেবা, রাস্তাঘাট, কৃষি, মৎস্য, লবণ, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, সদর, ঈদগাঁও ও রামুতে সংসদ সদস্য সাইমুন সরওয়ার কমল এবং চকরিয়া ও পেকুয়ায় সংসদ সদস্য জাফর আলমসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও নেতারা সহায়তা নিয়ে মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছেন, জেলার ৭১টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার মধ্যে ৫১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৫২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৭৬ হাজার ৫০০ পরিবারের আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ ৩২ কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্লাবিত এলাকার জন্য ইতোমধ্যে ৩০০ মেট্টিক টন চাল দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। পানি শুকিয়ে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ভারী বর্ষণে পাহাড়ধস ও বন্যার পানিতে ভেসে ২০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।