ওমিক্রন : বিজিএমইএ’র ১৭ নির্দেশনা

9

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ দ্রুত ছাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় পোশাক কারখানাগুলোতে সার্বক্ষণিক শ্রমিক-কর্মচারীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। কারখানায় প্রবেশের সময় শ্রমিকদের দেহের তাপমাত্রা পরিমাপ এবং প্রয়োজনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। কারখানায় প্রধান ফটকসংলগ্ন এলাকায় শ্রমিকদের হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান-পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। সম্প্রতি বিজিএমইএ’র সচিব মো. ফয়জুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়।
বিজিএমইএ’র নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পোশাক কারখানায় প্রবেশ ও ছুটির সময় শ্রমিকদের ভিড় এড়াতে ভিন্ন ভিন্ন সময় নির্ধারণে জোর দিতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকদের চলাচলের ব্যবস্থা করা দরকার। সম্ভব হলে বিভিন্ন বিভাগের কর্মঘণ্টার জন্য আলাদা শিফটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। দুপুরের খাবারের বিরতিসহ অন্যান্য বিরতির সময় বিভিন্ন বিভাগের শ্রমিকদের আলাদা আলাদা সময় নির্ধারণ করতে হবে। এর পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে সার্বক্ষণিকভাবে শ্রমিক-কর্মচারীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করাসহ সবধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য লোকসমাগম এড়িয়ে চলতে তাদের পরামর্শ দিতে বলা হয়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে সংশিষ্ট কর্মীকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হলে রোগীকে আইসোলেশনের পাশাপাশি সংশিষ্ট রোগীর সংস্পর্শে আসা অন্যদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে হবে কারখানা কর্তৃপক্ষকে।
করোনাকালীন সময়ে সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা গাইডলাইন ও হেলথ প্রটোকল যথাযথভাবে অনুসরণ করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছিল। অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিলে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আফ্রিকায় ওমিক্রন শনাক্তের পর সেখান থেকে দেশে এসেছেন ২৪০ জন। এ ব্যাপারে আতঙ্ক নয়, বরং তাদের পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এসব প্রবাসীদের মধ্যে ‘ওমিক্রন’ তথা কভিড-১৯ দ্বারা কেউ সংক্রমিত হয়ে থাকলে তা ছড়াতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন প্রতিরোধে সবরকম ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। তাছাড়া ‘ওমিক্রন’ যেসব দেশে ইতোমধ্যে শনাক্ত হয়েছে, সেসব দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ব্যাপারে যেমন বিশেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, তেমনি ওইসব দেশ থেকে দেশে আসার ব্যাপারেও নিরুৎসাহিত করা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারি প্রতিরোধে পোশাক কারখানায় যেসব নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল এখনও পর্যন্ত তা মেনেই আমরা কারখানা পরিচালনা করছি। কারণ সরকার এখনও বলেনি করোনা চলে গেছে। পাশাপাশি টিকা কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।