এক নজরে টাইগারদের নতুন কোচের ক্যারিয়ার

29

রাসেল ক্রেইগ ডমিঙ্গো ১৯৭৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট এলিজাবেথে জন্মগ্রহণ করেন। ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ারে তেমন কিছুই করতে পারেননি। দ্বিতীয় সারির লিগ পর্যন্তই খেলার অভিজ্ঞতা তার। মাত্র ২০ বছর বয়সেই ইতি টানেন খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের। খেলা ছেড়ে স্পোর্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং মার্কেটিংয়ের ওপর ডিগ্রি অর্জন করেন। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন প্রভিন্স যুব দলের কোচের দায়িত্ব পেয়ে যান। ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৯ , বি দল ও এ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বেও।
২০০৫ সালে মিকি আর্থার দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল ওয়ারিয়র্সের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিলে সে দায়িত্ব পান ডমিঙ্গো। রাসেল ডমিঙ্গোর তত্ত¡াবধানে ওয়ারিয়র্স জেতে দুটি ট্রফি। তার দল থেকে ৬জন সুযোগ পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলে।
২০১১ বিশ্বকাপের পর জয়ী ভারতকে ফেলে নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হন গ্যারি কারস্টেন। তার সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেন ডমিঙ্গোকে। এক বছরের মাথায় টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়ে যান ডমিঙ্গো। ২০১৩ সালে গ্যারি কারস্টেন প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়লে তিন সংস্করণেই প্রধান কোচের দায়িত্ব পান ডমিঙ্গো। তার অধীনে ১৩ টেস্ট সিরিজের ৮টিতে জয়ী হয়ে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের সাত থেকে দুইয়ে উঠে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডমিঙ্গোর সময়ে ২২ ওয়ানডে সিরিজের ১৪টিতে জয়ী হয়ে ওয়ানডেতে শীর্ষ দল হিসেবে জায়গা করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টিতে ৪২ ম্যাচের মধ্যে ২৩ জয় এসেছে তার সময়ে। তার অধীনেই ২০১৫ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়িত্ব ছাড়েন ডমিঙ্গো। দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে কোনো দল নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই তার। সে হিসেবে বাংলাদেশই হতে যাচ্ছে নিজ মহাদেশের বাইরের কোনো দল নিয়ে কাজ করার প্রথম অভিজ্ঞতা।