ইয়াবায় কোটিপতি হওয়া ব্যবসায়ীরা এখন কোথায়

56

ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে তার বিন্দুবিসর্গ সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। তিনি দাবি করেছেন, ‘ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছি- এর প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না’। কোনো ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জীবনে এক টাকা নেওয়া দূরে থাক, এক কাপ চা-ও খাইনি’ মন্তব্য করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘যেসব লোক ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা বানিয়েছে, তারা এখন কোথায়?’
গতকাল শুক্রবার বিকালে কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক জিরো পয়েন্টে কক্সবাজার-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শাহিন আক্তারকে গণসংবর্ধনা দেওয়ার জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। উপজেলা রেন্ট-এ-কার নোহা মাইক্রো চালক সমবায় সমিতি এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তবে অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বদিপত্নী শাহিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন না। খবর বাংলাট্রিবিউনের
অনুষ্ঠানে আগতদের মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আবদুর রহমান বদি বলেন, ‘এখনও যারা ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য রয়েছে এবং তারা যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো গ্রামে ইয়াবার চালান প্রবেশ করতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দিন; ইয়াবাসহ কারবারিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরিয়ে দিন’। তিনি বলেন, ‘সরকারপ্রধানের নির্দেশ, এই সীমান্তকে (টেকনাফ) ইয়াবামুক্ত করতে হবে। সেজন্য তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একইসঙ্গে জঙ্গি ও দুর্নীতিবাজদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়েছে সরকার, সবাই তা কাজে লাগান’।
আবদুর রহমান বদি বলেন, ‘ইয়াবা ব্যবসা করে অনেক চালক একাধিক গাড়ির মালিক হয়েছেন। তাই গাড়ি চালকদের অনুরোধ করছি, এই ব্যবসার সঙ্গে কেউ জড়িয়ে পড়বেন না। না হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ’।
রেন্ট-এ-কার নোহা মাইক্রো চালক সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন ওরফে ইছুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, পৌরসভা মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ আহমদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বাহাদুর, সোনা আলী, শ্রমিক লীগের নেতা মো. সরোয়ার আলমসহ অনেকে।