ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে জাতিসংঘের তদন্ত দল

23

ইরানের পুরনো একটি পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে জাতিসংঘের পরমাণু নজরদারি বিষয়ক সংস্থা দ্য ইন্টারন্যাশনাল অটোমিক এনার্জি এজেন্সি-আইএইএ। গত কয়েক মাস ধরে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর ইরান তাদের পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনের অনুমতি দেয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) দাবী অনুযায়ী ইরানের মজুদ করা ইউরেনিয়ামের সংখ্যা ২ হাজার ১০৫ কেজি। যা পরমাণু সমঝোতায় বর্ণিত পরিমাণের ১০ গুণ। ২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় পরাশক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী এই মজুত তিনশ কেজির নিচে থাকার কথা।
আইএইএ-এর অভিযোগ ছিল ইরান আইএইএ’কে না জানিয়ে তার দুটি স্থাপনায় পরমাণু তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। পরে তেহরানের পক্ষ থেকে তাদেরকে ওই দুই পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়। জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অটোমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) সর্বশেষ প্রতিবেদনে ইরানের দু’টি পরমাণু স্থাপনায় এই সংস্থার পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকার দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার ভিয়েনায় আইএইএ’র সদর দপ্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে একটি স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন সংস্থার পরিদর্শকরা।
অন্যটি চলতি মাসেই পরিদর্শন করা হবে বলে তেহরানের সঙ্গে কথা হয়েছে। গত সপ্তাহে তেহরান সফরে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান সালেহির সঙ্গে আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রসির বৈঠক হয়। সে সময় ইরান স্বেচ্ছায় তাদের দু’টি পরমাণু স্থাপনা আইএইএ’র পরিদর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে সম্মত হয়। গ্রোসির সঙ্গে ইরান যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে তা আইএইএ’র গতকালের প্রতিবদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান এখনো ৪.৫ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে; যদিও পরমাণু সমঝোতায় দেশটি সর্বোচ্চ ৩.৬৭ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই সঙ্গে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইরানের বর্তমান ইউরেনিয়ামের মজুদ সমঝোতায় বর্ণিত পরিমাণের ১০ গুণ।