ইউক্রেনের বন্দরে গমবাহী ১৬ জাহাজ

14

পূর্বদেশ ডেস্ক

গমবোঝাই ১৬টি জাহাজ ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর ছাড়তে প্রস্তুত। যদিও নতুন এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় আবারও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তাই এই গম রপ্তানি নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এই হামলায় রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় থাকা ইউক্রেনের কয়েক ডজন বন্দি নিহত হয়েছেন। যদিও হামলার ব্যাপারে পরস্পরবিরোধী অভিযোগ করছে দুটি দেশই।
এদিকে শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয় বলেছে, অল্প সময়ের মধ্যেই জাহাজগুলো বন্দর ছাড়ার কথা।
ওডেসা বন্দর থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক জন হেনড্রেন জানিয়েছেন, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির জন্য ২৫ মিলিয়ন টন গম বোঝাই করা হয়েছে। গত ২২ জুলাই জাতিসংঘের সমর্থনে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে একটি শস্য রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তির আওতায়ই এই গম বিদেশে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
হেনড্রেন বলেন, জাহাজগুলো নিরাপদে ইউক্রেন ত্যাগ করার জন্য একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রপ্তানির জন্য গম প্রস্তুতকারী ক্রুদের সঙ্গে দেখা করতে ওডেসা এলাকার চেরোনোমরস্ক বন্দর পরিদর্শন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ওই সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধ শুরু থেকেই প্রথম জাহাজ বোঝাইয়ের কাজ চলছে।
যদিও তার এই আশাবাদী মন্তব্য সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছাড়তে পারেনি। এই ব্যাপারে হেনড্রেন বলেন, জাহাজ না ছাড়ার একটি কারণ হলো ওই সব জাহজকে হয়তো সেসব জলপথ দিয়ে যেতে হতে পারে যেখানে মাইন পুতে রাখা আছে এবং এতে হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাহাজগুলোকে বন্দর ছাড়তে হলে ‘যুদ্ধরত দুই দেশের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ আস্থার দরকার’। শুক্রবার রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা দোনেৎস্কের ওলেনিভকায় বিচারের জন্য ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি রাখা বন্দিশালায় আক্রমণে সেই আস্থা আরও নড়বড়ে হয়ে গেছে।
রাশিয়া অভিযোগ করেছে, ওই বন্দিশালায় যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এই হামলায় কয়েক ডজন বন্দি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সেসব বন্দিও রয়েছেন, যাদেরকে মারিওপোলের আজভস্টাল ইস্পাত কারখানা প্রতিরোধে সাহসিকতার জন্য যুদ্ধনায়ক বিবেচনা করতো কিয়েভ।
অন্যদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে। উল্টো তারা এ হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ান ফেডারেশনের সশস্ত্র বাহিনী ওলেনিভকাতে থাকা বন্দিশালায় গোলাবর্ষণ করেছে।