আড়াই লাখ টাকার লোহা লুট সীতাকুন্ডে শিপইয়ার্ডে চুরি

14

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে একটি শিপইয়ার্ডে সিকিউরিটি ইনচার্জের উপর হামলা চালিয়ে আড়াই লাখ টাকার স্ক্র্যাপ লোহা চুরি করে নিয়েছে একটি লোহা চোর চক্র। এসময় চোরের দলের সদস্যরা দুই সিকিউরিটি ইনচার্জের উপর হামলা চালিয়েছে একজনের চোখ নষ্ট করে দিয়েছে। গত শুক্রবার সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায় সাগর উপকূলে অবস্থিত আরেফিন শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। গত শনিবার এ ঘটনায় সীতাকুন্ড থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে ১৫ থেকে ২০ জনের সংঘবদ্ধ একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল একটি ইঞ্জিল চালিত নৌকায় করে শিপইয়ার্ডে আসে। অন্ত্রের মুখে দায়িত্বরত দারোয়ানদের জিম্মি করে পিতল ও স্ক্র্যাপ লোহা নিয়ে যায়। যার অনুমানিক মূল্য আড়াই লাখ টাকা। খবর পেয়ে ইয়ার্ডের সিকিউরিটি ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফ হোসেন (৩০) ও রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে এসে চোরদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসার চেষ্ঠা করলে চোর দলের সদস্যরা কিরিচ দিয়ে তাদের কুপিয়ে জখম করে। চোরদের লোহার আঘাতে আরিফ হোসেনের চোখ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় গত শনিবার ইয়ার্ডের অপর সিকিউরিটি ইনচার্জ মাইকেল বাদি হয়ে সীতাকুন্ড থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টা ও চুরির মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় স্থানীয় চোর চক্রের সদস্য ফারুক (২৭), নজরুল (২৮), আলাউদ্দিন (২২), সাহাবউদ্দিন (২৬), ইলিয়াছ (২৮), ইউসুফ সওদাগর (৪৫), রণি জদাশ (২৪), মোজাম্মেল (৩৫) ও মঞ্জু (৩২) সহ অজ্ঞাত ১০ জনকে। স্থানীয় ইয়ার্ড মালিকরা জানান, শিপইয়ার্ডকে ঘিরে উপজেলার মাদামবিরিহাট কনফিডেন্স সিমেন্ট কারখানা সংলগ্ন ইছামতি খাল এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ চোরের চক্র গড়ে উঠে। তারা প্রতি রাতে সাগর উপকুলে কোন না কোন ইয়ার্ডে সিকিউরিটি গার্ডদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ক্র্যাপ লোহা ও স্ক্র্যাপ জাহাজের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। থানায় মামলা দিলেও কোন প্রতিকার না পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেন ইয়ার্ড মালিকরা। সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি তদন্ত সুমন চন্দ্র বণিক মামলা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চোর চক্রটি হামলায় দুই সিকিউরিটি ইনচার্জের গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।