আবারো মাইন বিস্ফোরণে উড়ে গেল রোহিঙ্গার পা

8

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির আশারতলী এলাকা সংলগ্ন মিয়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে আব্দুল কাদের (৫২) নামের এক রোহিঙ্গার এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহত আবদ্লু কাদের ছনখোলা ছেরাকুল এলাকার রোহিঙ্গা মীর আহমদের ছেলে। বিস্ফোরণের শিকার ব্যক্তির স্বজন মো. হোসেন জানান,সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে চারণরত গরু আনতে গেলে স্থলমাইন বিস্ফোরণের শিকার হন আবদুল কাদের। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তার ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে।পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি এখন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই বিষয়ে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, সীমান্তের কাছে এক রোহিঙ্গা মাইন বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে বিস্তারিত জানতে পারিনি।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ১ তংচঙ্গা যুবকের পা উড়ে যায়। গত রবিবার তুমব্রæ জিরো লাইনে স্থল মাইন বিস্ফোরণে ২ রোহিঙ্গা হতাহত হয়।

ক্যাম্পে গুলিতে শিশু নিহত :
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক রোহিঙ্গা শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ১৮ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক এইচ ৫২- তে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, নিহতের নাম তাসফিয়া আকতার (১১)। সে ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবক মো. ইয়াছিনের মেয়ে।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ইয়াসিনের বসতঘর ও পাশের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় ইয়াছিন পরিবারের সদস্যের নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে তার মেয়ে তাসফিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওই ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ হাবিব সাংবাদিকদের জানান, সন্ত্রাসীরা ভোরে ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থানে গুলি ছোড়ে। এতে এক রোহিঙ্গা শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামা আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ছয় জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। তার আগে ৯ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে কুতুপালং ক্যাম্পে নিজ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে।