আবারও বাড়তি ভাড়া নিয়ে ঠিকাদার-যাত্রী হাতাহাতি

22

কর্ণফুলী প্রতিনিধি

কর্ণফুলীর ডাঙ্গারচর ঘাটে বাড়তি ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে ঠিকাদার ও যাত্রীদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘাট দিয়ে নগরপ্রান্ত সল্টগোলা ঘাট হয়ে যাত্রীরা নগরীতে আসা যাওয়া করেন। ঘটনার পরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, কর্ণফুলীর সব নৌ-ঘাটে সাম্পাণে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। কার্যাদেশে সিটি কর্পোশেন ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও প্রতিটি ঘাটেই ঠিকাদারদের উচ্ছেমাফিক ভাড়া আদায় করা হয়। কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করলেও ঘাটের ইজারাদাতা কর্তৃপক্ষ সিটি কর্পোরেশন এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। এ কারণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব ঘাটের ইজারাদারদের নিয়ন্ত্রণ করা একার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা সুলতানা।
ডাঙ্গরচার ঘাটে বাংলা বছরের প্রথম দিন থেকে নতুন ভাড়া কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। তবে তা প্রতিরোধে ডাঙ্গারচর ঘাটে মানববন্ধন ও প্রতিরোধে লোকজনের সমাবেশ করেন লোকজন। ওই সময় ঠিকাদাররা পিছু হটলেও আবারও নতুন করে বাড়তি ভাড়া নেয়া শুরু করায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম হৃদয় জানান, এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা চলছে। এ বিষয়ে গত শনিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনির অফিসে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ছিলো। পরে আমরা হাজির হলেও হায়দার আলী বৈঠক করেননি। পরে রবিবার সকাল থেকে ঠিকাদাররা বাড়তি ভাড়া আদায় শুরু করে। কার নির্দেশে বা ইন্ধনে বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে তারা এখনো অবগত নন বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে রাত ৯ টায় কর্ণফুলী থানায় উভয় পক্ষকে হাজির হতে বলা হয়েছে। থানায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
শাহমীরপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি জানান, কোনো আলোচনা ছাড়া হঠাৎ বাড়তি ভাড়া আদায় করায় যাত্রীদের সাথে উত্তেজনা বাড়ে ঘাট শ্রমিক-মাঝিদের। পরে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
ঠিকাদার পক্ষে ঘাটের নিয়ন্ত্রক মাহবুব আলম জানান, তেলের দাম বাড়ায় ২ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় বৈঠকের কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, কোন যুক্তিতে বাড়তি ভাড়া চাচ্ছেন এবং কার্যাদেশে কি আছে তা আমরা যাচাই করে দেখব। এ জন্য উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে। বৈঠক শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনির সাথে কথা বলতে একাধিকবার ফোন দেয়া হয়। কিন্তু তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।