আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার

19

আবারও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ বাহিনীর প্রধান বলেন, বৃহস্পতিবার ৪৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে জাপান সাগরে পতিত হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। আগামী মাসে কোরীয় উপদ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়ার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করার কিছু দিনের মধ্যেই এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনা ঘটলো।গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি হয়।
যৌথভাবে কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে একমত হন তারা। পরে এ বছরের ফেব্রæয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় ভিয়েতনামে বৈঠকে মিলিত হন ট্রাম্প ও কিম। কিন্তু ট্রাম্প অসম্মানজনক প্রস্তাব দিয়েছেন দাবি করে বৈঠক ছেড়ে বের হয়ে আসেন কিম। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩৪ মিনিটে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। দ্বিতীয়টি করা হয় ৫টা ৫৭ মিনিটে। তবে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন সে সময় উপস্থিত ছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের জলসীমায় আঘাত আনেনি এবং জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েনি। তবে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টিকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। গত মাসে ঘোষণা দেওয়া যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে উত্তর কোরিয়ার অভিযোগ, এতে করে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে এবং নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা বাধাগ্রস্ত হবে। গত বছর পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ এবং আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না চালানোর ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয় একটি পারমাণবিক স্থাপনা। তারপরও বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, পারমাণবিক বোমার জ্বালানি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ং দাবি করে থাকে, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে বহনযোগ্য ছোট আকারের পারমাণবিক বোমা তৈরিতে সক্ষম হয়েছে তারা।