আন্তর্জাতিক জ্যোতিষ সম্মেলনে মনোমুগ্ধকর সঙ্গীতানুষ্ঠান

84

এশিয়ান এস্ট্রলজার্স কংগ্রেস ও বাংলাদেশ এস্ট্রলজার্স সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বর তিনদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ২৮তম আন্তর্জাতিক জ্যোতিষ সম্মেলন। এই উপলক্ষে আয়োজন করা হয় মনোমুগ্ধকর সঙ্গীতানুষ্ঠান। টিভি-বেতার ও স্থানীয় শিল্পীদের সুরের মূর্চ্ছনায় সম্মেলন প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠে। সঙ্গীত ও নৃত্যের পাশাপাশি কৌতুক ও যাদু প্রদর্শনী ছিল চোখে পড়ার মতো।
সঙ্গীতানুষ্ঠানে শিল্পী কার্তিক মজুমদার পলাশের গাইলেন- ‘আমার সারা দেহ খেওগো মাটি…, প্রিয়া ভৌমিকের কণ্ঠে- ‘ওগো তোমার আকাশ দু’টি চোখে…, তন্দ্রা সিংহ মৌ’র কণ্ঠে- ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী…, গীতা আচার্য্যরে কণ্ঠে- ‘যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম…, অনন্যা সোমার কণ্ঠে- ‘চোখের পলকে আমার বন্ধু পরান…, কেয়া দাশের কণ্ঠে- ‘আকাশের সব তারা ঝরে যাবে…, পলাশ কান্তি নাথ রণীর কণ্ঠে- ‘কইলজার ভেতর গাঁথি রাইখুম তোয়ারে…, অর্পা দে’র কণ্ঠে- ‘আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো…। এছাড়া শিল্পীদের একের পর এক সঙ্গীত পরিবেশনায় বিমোহিত ছিল দর্শনার্থীরা। দর্শকদের করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে অনুস্থানস্থল। দ্বৈত সঙ্গীত পরিবেশন করেন : শিউলী শীল, দৃষ্টি মজুমদার, অর্চিতা আচার্য ত্রয়ী, প্রীতু মল্লিক, নিঝুম দাশ বৃষ্টি, চম্পা চৌধুরী, লিপি সরকার, শান্তা বড়–য়া, রেশমি ধর, শর্মিলা দে, ঐশী কুরী। নৃত্য ঝঙ্কার তুলেছিল অদিতি সিকদার ও স্নেহা মুহুরী। কৌতুক পরিবেশন করেন কমেডিয়ান আতাউল হাকিম। জাদু প্রদর্শনীতে ছিল বিজেত্রী বসাক।
যন্ত্রসঙ্গীতে যারা সহযোগিতা করেন : কীবোর্ডে-সৈকত নন্দী, বেইজ গীটারে-আদিনাথ চক্রবর্তী, লীড গীটারে-সুচয়ন দে, তবলায়-রিপন দাশ, অক্টোপ্যাডে -অভিষেক দাশ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিল-সংগঠক পলাশ কান্তি নাথ রণী। অনুষ্ঠানে গীতাঞ্জলি মাতৃ সম্মিলনীর উপদেষ্টা শিল্পী চৌধুরী, সভাপতি রুপনা দাশ ও সাধারণ সম্পাদক শিল্পী আচার্য্যকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ড. মুহাম্মদ আনিসুল হক। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এস্ট্রলজার্স সোসাইটি চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা ননী গোপাল আচার্য্য। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ড. শ্রীরাম আচার্য্য। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুুরী ফরিদ, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, বিএএস কেন্দ্রীয় নির্বাহী সভাপতি ড. জি কিবরিয়া, চিত্ত রঞ্জন আচার্য্য, বিশ্বজিৎ হালদার, ইয়াছিন আরাফাত মেহেদী, রাকিব হাসান, শেখ টুটুল, চন্ময় আচার্য্য, প্রতাপ চক্রবর্ত্তী, মাস্টার মিলন, ডিজি ইকবাল মাহমুদ, ডা. সহদেব বিষ্টা, গনেশ্যাম ওভেদি, কেশবরাজ যোশি, ড. বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য্য, জেবি ম্যাজারিনো, এ.কে আচার্য্য শ্যামল, বিজয় শর্মা, দুলাল আচার্য্য, দুলাল বড়–য়া, সুজিত আচার্য্য, কাজল আচার্য্য, রতন আচার্য্য, রিমন মুহুরী, প্রিয়মোহন কাছারী, তাপস আচার্য্য, চন্দ্ররাজ আচার্য্য, তপন আচার্য্য, রুমকি সেনগুপ্ত, শংকর আচার্য্য, অতিন্দ্রিয় আচার্য্য তীর্থ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নেপাল এস্ট্রলজার্স এর পক্ষে সকল অতিথিবৃন্দকে উত্তরীয় ও স্মারকগ্রন্থ প্রদান করা হয়। ২য় পর্বে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত জ্যোতিষবিদগণদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মুহম্মদ আনিসুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক কাঞ্চন মহাজন, কল্যাণ চক্রবর্তী।
২য় দিনের ১ম পর্বে ‘মানব জগতে জ্যোতিষ বিজ্ঞানের প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনার, আলোচনা সভা মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ ননী গোপাল আচার্যের সভাপতিত্বে ও ড. শ্রীরাম আচার্যের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি। উদ্বোধক ছিলেন অ্যাড. তপন কান্তি দাশ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশপ্রিয় চৌধুরী বিনয়, পলাশ কান্তি নাথ রণি, ড. মুহাম্মদ আনিসুল হক প্রমুখ। ২য় পর্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ। উদ্বোধক ছিলেন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামল। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজাদা স.ম এনাম। অনুষ্ঠানে দেশী ও বিদেশী এস্ট্রলজার্সদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সমাপনী দিনের ১ম পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। এতে বক্তব্য রাখেন অ্যাড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ প্রমুখ। ২য় পর্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। উদ্বোধক ছিলেন বিমল কান্তি দে। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক সেতু বড়–য়া, চবি’র অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম প্রমুখ।