আনোয়ারায় সার কারখানার বর্জ্যে মরছে মাছ

14

আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারায় ডিএপি সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে কয়েকটি মৎস্যঘেরের মাছ মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যচাষীরা।
গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার বারশত ইউনিয়নের রাঙ্গাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। খবর পেয়ে ডিএপি সার কারখানার জিএম (এডমিন) আলমগীর জলিলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এবং উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার রাশিদুল হকের নেতৃত্বে মৎস্য অফিসের এরকটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সকলের উপস্থিতিতে মৎস্য অফিসের বিশেষজ্ঞ দল মরে যাওয়া মাছের ঘেরের পানি পরীক্ষা করেন। এসময় পরীক্ষায় মাছের ঘেরে ০.২৫ পয়েন্ট অ্যামোনিয়ার উপস্থিতি রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞ দল।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাঙ্গাদিয়া এলাকায় প্রায় ৭০ একর পিডিবি প্রকল্পে জায়গায় এনামুল হক, মোহাম্মদ আবদুল করিম, মোহাম্মদ কামাল, মোহাম্মদ মুজিবসহ ২৫ জন মৎস্য প্রজেক্ট করে আসছেন। তাদের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে ডিএপি সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যরে পানি ঢুকে তাদের প্রজেক্টের ৩০ লক্ষ টাকার মাছ মরে যায়।
উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য হুজ্জাতুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষায় যে অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে সেটা খুবই সামান্য। এমনিতেই এসব মাছের প্রজেক্টে অ্যামোনিয়ার উপস্থিতি কিছুটা থাকে। এর আগে আমরা সিইউএফএলের পাশে যেখানে মাছ মরেছিল সেখানের একটি প্রজেক্ট থেকে পানি পরীক্ষা করেছিলাম। সেই প্রজেক্টের পানিগুলো একেবারে নীল হয়ে গিয়েছিল। আমাদের ধারণা ঐ প্রজেক্ট থেকেই চারপাশের প্রজেক্টগুলোতে অ্যামোনিয়া ছড়িয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের জিএম (এডমিন) আলমগীর জলিল বলেন, প্রজেক্টসহ খামারীদের মাছ মারা যাওয়ার ঘটনাটি শুনার পর আমরা সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। পানি সংরক্ষণ করে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়েছে। পানিতে কোনো বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কি কারণে মাছগুলো মারা গেছে তা জানা যায়নি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক বলেন, মাছ মরার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং মৎস্য ঘের থেকে পানি ও মৃত মাছ পরীক্ষা করা হয়েছে।