৭ কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি

45

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রথম দিন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার দায়ে ৭ কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি দিয়েছে বোর্ড। গতকাল সোমবার শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসানের সই করা এক অফিস আদেশে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অব্যাহতি পাওয়া কেন্দ্র সচিবরা হলেন, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব সাহেদা আকতার, গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব রফিকুল ইসলাম, মিউনিসিপ্যাল সিটি কর্পোরেশন মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব শাহেদুল কবির চৌধুরী, উখিয়া পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব আমিনুল এহসান মানিক, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব রোকেয়া খানম, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নাসির উদ্দিন এবং পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব আবুল হাশেম।
অব্যাহতি পাওয়া এসব কেন্দ্র সচিবের স্থানে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওএফএম ইউনুছ, গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মো. শফিকুল ইসলাম, মিউনিসিপ্যাল সিটি কর্পোরেশন মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আবদুল হক, উখিয়া পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মো. ইদ্রিছ মিয়া, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফাতেমা জাহান, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মো. নাজিম উদ্দিন এবং পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আবদুল কাদেরকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খবর বাংলানিউজের
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ৭ কেন্দ্র সচিব বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী অংশে কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নির্ধারিত সিলেবাসের প্রশ্নপত্রের পরিবর্তে ভিন্ন সিলোবাসের প্রশ্নপত্রে নিয়েছেন। যা এসএসসি পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১৯ এবং কেন্দ্র সচিবদের প্রতি জরুরি নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ জন্য তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রে নতুন কেন্দ্র সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২ ফেব্রæয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষায় ৭টি কেন্দ্রে ২০১৮ সালের সিলবাস অনুসারে প্রণীত প্রশ্নে ২০১৯ সালের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র সচিবদের ভুল দাবি করে শিক্ষাবোর্ড জানায়, উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় ভুলের শিকার শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।