২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯২৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে

33

কোরবানি ঈদের ছুটিতে সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে নতুন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমে এলেও তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৯২৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮১১ জন নতুন রোগী, ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১১৮ জন। বুধবার ঢাকায় নতুন রোগী ভর্তির সংখ্যা ছিল ৭৫৫ জন, আর ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছিলেন ১ হাজার ১২৫ জন।-খবর বিডিনিউজের
হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টারের সহকারী পরিচালক আয়শা আক্তার বলেন, ঈদের দ্বিতীয় দিনের তুলনায় তৃতীয় দিনে নতুন রোগী ৪৯ জন বেড়েছে। তবে ঢাকার বাইরে আজ নতুন রোগী কিছুটা কমেছে। আগস্ট- সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়বে, এমনটি আগে বলেছি আমরা। আরও ৭ থেকে ৯ দিন দেখার পর আমরা বলতে পারব, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়বে না কমবে। তবে আয়শা আক্তারের ধারণা, জনসাধারণ আগের চেয়ে সতর্ক হওয়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই কমে আসবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮ হাজার ২৮০ জন। তাদের মধ্যে ৪০ হাজার ৬৭০ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আছেন ৩ হাজার ৯১০ জন, অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩ হাজার ৬৬০ জন। যারা বাসায় থেকে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের সংখ্যা এই হিসাবে আসেনি।
সরকার চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হলেও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও জেলার চিকিৎসকদের কাছ থেকে অন্তত ১২৪ জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
সরকারি হিসেবে চলতি বছর এপ্রিলে ৫৮ জন, মে মাসে ১৯৩ জন, জুনে ১৮৮৪ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। জুলাই মাসে তা এক লাফে ১৬ হাজার ২৫৩ জনে পৌঁছায়। আর আগস্টের ১৪ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯ হাজার ৮১৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতেই সবচেয়ে বেশি- ২৯৫ জন নতুন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ২০৯ জন, খুলনা বিভাগে ১৫১ জন, রংপুর বিভাগে ৮১ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩০ জন, বরিশাল বিভাগে ১৭১ জন, সিলেট বিভাগে ২৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৬ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।