হারবাংয়ে কৃষকের বসতঘর পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা

44

ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় চকরিয়ায় এক কৃষকের বসতঘর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে হারবাং ইউনিয়নের মুকিয়াঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে হারবাং ইউনিয়নের মুকিয়াঘোনার পাহাড়ি এলাকায় পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন বসবাস করেন। গত ২১ এপ্রিল শবে বরাতের দিন সকালে গরু জবাই নিয়ে স্থানীয় ও বিভিন্ন এলাকা থেকে গিয়ে বসবাস করা লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই দিন দুপুর দুইটার দিকে একটি পুকুরে কয়েকজন নারী গোসল করার সময় ঢিল ছুঁড়ে মারে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে। বিষয়টি নিয়ে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দু’পক্ষ। এসব ঘটনা নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে স্থানীয়রা।
মুকিয়াঘোনা এলাকার জালাল আহমদের ছেলে কৃষক লিয়াকত আলী বলেন, লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় বেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যক্তি তার বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও শিশু সন্তান আরমানকেও মারধর করে দুর্বৃত্তরা। লিয়াকত আলী আরও বলেন, আগুনে তার বসতঘর, প্রয়োজনীয় কাপড়চোপড়, আসবাবপত্র, দেড়শত আড়ি ধান, পাসপোর্ট ও নগদ টাকাসহ অন্তত ছয় লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন বলেও জানান।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করছেন। সত্যতা পেলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে।