স্বাস্থ্যবীমার জন্য পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছে

55

জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবীমা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবীমা করার লক্ষ্যে একটি পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলায় পরীক্ষামূলক স্বাস্থ্যবীমা কার্যক্রম চালু করেছি। পরীক্ষামূলক এই কর্মসূচি সফল হলে সারাদেশে এটি চালু হবে। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্ন-উত্তরে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্ন-উত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার ঐবধষঃয পধৎব ঋরহধহপরহম ঝঃৎধঃবমু ২০১২-২০৩২ প্রণয়ন করেছে। এর অধীনে প্রাথমিকভাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (ঝঝক)’ শীর্ষক পাইলট প্রকল্প কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। পাইলট এলাকায় দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যদের ৭৮টি ভর্তিযোগ্য রোগের বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হচ্ছে। পাইলট প্রকল্প ৩টি উপজেলা থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার বাকি ৯টি উপজেলায় স¤প্রসারণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এটি সফল হলে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে স¤প্রসারণ করা হবে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
গণফোরামের মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ২০০৮ সালের সাড়ে ৪ কোটি থেকে বর্তমানে (এপ্রিল ২০১৯) ১৬ কোটি ৫ লাখে উন্নীত হয়েছে।একই সময় ইন্টারনেট গ্রাহক ৬০ লাখ থেকে ৯ কোটি ৩৭ লাখে উন্নীত হয়েছে। সরকার প্রধান বলেন, গত বছরের ১২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে। গত ১৯ মে হতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের স¤প্রচার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশকে পেছনে ফেলে ২০১৮ সালে ১১৫তম অবস্থানে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে।