সৌরবিদ্যুৎ চালিত নৌযানের বাণিজ্যিক উৎপাদন এ বছরই

100

বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে নদীতে চলাচল উপযোগী করে তৈরি হওয়া সৌরবিদ্যুৎ চালিত (হাইব্রিড সোলার পাওয়ার্ড বোট) নৌযান ‘সানফ্লাওয়ার’ এর পরীক্ষামূলক যাত্রা শেষ করেছে বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ‘তাড়াতাড়ি’ শিপইয়ার্ড ও রহিম আফরোজ রিনিউএ্যাবল এনার্জি লিমিটেড। তারা এবছরই নৌযানটির বাণিজ্যিক উৎপাদন এবং বিক্রি শুরুর কথা জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘তাড়াতাড়ি’ শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইভস ম্যারি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে কুড়িগ্রামের রৌমারিতে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে আমাদের যাত্রা শেষ হয়। এসময় আমাদেরকে দু’টি উপকূলীয় ঝড় অতিক্রম করতে হয়েছে। তবে আমাদের যাত্রা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সৌরশক্তিচালিত নৌযান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ‘তাড়াতাড়ি’ শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইভস ম্যারি বলেন, এই নৌযান একবার চার্জ দিলে আড়াই দিনে ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এটা নিরাপদ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী নৌকা। এতে কোনো পেট্রোলিয়াম জ্বালানি ব্যবহার করা হয় না। পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ে ‘তাড়াতাড়ি’ শিপইয়ার্ডে নির্মিত সাড়ে ১৬ ফুট দীর্ঘ ‘সানফ্লাওয়ার’ নৌকায় দুইজন যাত্রী চলাচল করতে পারেন।
শেখ মনোয়ার আহমদ বলেন, একই প্রযুক্তিতে ৬০ ফুট দীর্ঘ নৌকাও তৈরি করা সম্ভব। পাশাপাশি ১০ থেকে ৫০ জন ধারণ ক্ষমতার নৌকাও তৈরি করা যাবে। আগামি বছর ৮ থেকে ১০ জন ধারণক্ষমতার নৌকা তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি।
সম্মেলনে রহিম আফরোজের ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল প্রজেক্টের প্রধান শেখ মনোয়ার আহমদ বলেন, আমরা এই নৌযানটির ইঞ্জিন, সোলার প্যানেল ও ব্যাটারি সুবিধা দিচ্ছি। উল্লেখ্য, তাড়াতাড়ি শিপইয়ার্ডে নির্মিত বেশকিছু নৌকা ও কায়াক কাপ্তাই ও রাঙামাটি অংশের কর্ণফুলী নদীতে চলাচল করছে।