সেবা নিশ্চিত করতে সবার মতামত নিয়ে কাজ করব

52

নির্বাচনী প্রচারণার ৪র্থ দিনে নগরীর ৯নং উত্তর পাহাড়তলী, ১০নং উত্তর কাট্টলী ও ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত সিটি মেয়র পদপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। নৌকায় ভোট চেয়ে গণসংযোগকালে তিনি বিভিন্ন জরাকীর্ণ স্থানে পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জমিদার বংশীয় পরিবার বহদ্দার পরিবারের সুযোগ্য সন্তান আমি। হিসেবে ধন-দৌলতের আর ঐশ্বর্য্যরে মাঝে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম আমার। ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রামের লালদিঘি মাঠে যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তি ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করা হয়, তখন আমি ১৩ বছরের একজন স্কুলপড়–য়া কিশোর। আমার স্কুলের মাঠ হিসেবে সেদিনের জনসভায় বঙ্গবন্ধুকে প্রথম দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁর ভাষণ আমাকে দারুনভাবে আলোড়িত করেছিল সেদিন। তার আদর্শের প্রতি অনুরক্ত হয়ে ৬৭ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ি। চাইলে আমি পায়ের উপর পা তুলে, শুয়ে-বসে দিনাতিপাত করতে পারতাম। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের কল্যাণ ও দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের কঠোর সংগ্রামের পথকেই বেচে নিয়েছি। ১৯৭১ সালে প্রত্যক্ষভাবে অস্ত্র হাতে জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। দেশ স্বাধীন হবার পরও থেমে থাকিনি। শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির ধারায় ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। ১৯৭৫ সালে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলে প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের প্রতিরোধ সংগ্রামে অংশ নিয়েছি। প্রকাশ করেছি নানা পত্রিকা, ম্যাগাজিন, প্রবন্ধ, ইতিহাস নির্ভর গ্রন্থনা। তারপর অনেক ইতিহাস। অনেক ভয়ভীতি, হুঙ্কার, প্রলোভন আমাকে দেখানো হয়েছে। কোন কিছুই মুজিবাদর্শের পথচলা থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। কারণ আমি বঙ্গবন্ধুর কর্মী। আমার অন্য কোন লক্ষ্য থাকতে পারে না। জনগণের স্বার্থই আমার স্বার্থ। মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নই আমার লক্ষ্য। আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বৃহত্তর পরিসরে আপনাদের সেবা করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জনস্বার্থের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তিনি দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় মুজিববর্ষের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করেছেন। দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের বিষ্ময়। চট্টগ্রাাম ও দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির স্বার্থে আমি মেয়র পদে নৌকায় ভোট চাই। ভোটের মালিক জনগণ। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে আমি সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে সকলের মতামত নিয়ে কাজ করব। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুযোগ কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামকে আরো সমৃদ্ধতর মহানগর হিসেবে গড়ে তুলব। এ জন্য আমি আপনাদের ভোট ও দোয়া চাইছি।’
গণসংযোগকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মো. শফর আলী, শেখ মাহমুদ ইসহাক, সিনিয়র সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, মহানগর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হাসান, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মো. ঈছা, জামশেদুল আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শওকত ওসমান জাহাঙ্গীর, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহŸায়ক নুরুল আমিন তালুকদার, যুগ্ম আহŸায়ক শওকত আলী প্রমুখ। এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। খবর বিজ্ঞপ্তির