সুষ্ঠু ভোট হলে জয়ী হবে ধানের শীষ

44

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেছেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের মাটি শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত এলাকা। কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বোয়ালখালীর কড়লডেঙ্গা পাহাড়সহ প্রত্যন্ত এলাকা থেকে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। সেখানকার মানুষের সাথে শহীদ জিয়ার আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। শহীদ জিয়ার প্রতি এ এলাকার মানুষের আবেগ ও ভালবাসার সম্পর্ক আছে।
তিনি বলেন, এ আসনে সব সময় বিএনপি প্রার্থী বিপুল ভোটে জিতেছেন। গত ৪০ বছর যাবৎ আমি এ চান্দগাঁও এলাকাতেই বসবাস করছি। এ এলাকার মানুষের সাথে আমার সম্পর্ক আত্মার। যদি সুষ্ঠু ভোট হলে ধানের শীষ বিজয়ী হবে। তিনি গতকাল মঙ্গলবার মীর্জাপুল, এলুমিনিয়াম গলি, মুরাদপুর, মোহাম্মদপুর, নাজিরপাড়া, হামজারবাগ, বিবিরহাট বাজার গলি, বশর মার্কেট, ওয়াপদা গলি, সুন্নিয়া মাদ্রাসা রোড, খতীবের হাটে গণসংযোগ ও পথসভায় এ কথা বলেন।
তিনি এলাকার ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা এবং এলাকার মানুষের সাথে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ১৩ জানুয়ারির নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় হলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান হবে। বাংলাদেশের মানুষ যে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পক্ষে, তা প্রমাণ হবে। মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তা প্রমাণ হবে।
পথসভায় প্রধান অতিথি মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তারা অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। তারা নির্ভর করে পেশীশক্তি ও রাষ্ট্রশক্তির উপর। কিন্তু বিএনপি বিশ্বাস করে ব্যালট বুলেটের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। ভোটাধিকার মানুষের পবিত্র আমানত। আমরা মানুষের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। এ পবিত্র আমানত রক্ষায় আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়ী করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লড়াইয়ে আপনাদের এক একটি ভোট হবে মুক্তির সনদ হিসেবে।
বিশেষ অতিথি মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এ উপনির্বাচনের ফলাফলে সরকার পরিবর্তন হবে না। তাই আশা করবো নির্বাচন কমিশন উৎসব মুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করবে।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, নগর বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, হারুন জামান, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মনজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, হুমায়ুন কবীর আনসার, মো. রফিক, খোকন চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, নগর বিএনপির সহসম্পাদক ইদ্রিস আলী, আবু মুসা, নগর সদস্য জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আসলাম, কাজী সামশুল আলম, আবদুল্লা আল ছগির, মোশারফ জামাল, সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান ওসমান চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, মো. হাসান, বিএনপি নেতা এনামুল হক ইনু, মো. আলী, এমএ হামিদ দিদার, জানে আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. শফি, মকবুল হোসেন খোকন, এমএ নাসের, জিনাত রজ্জাক জিনিয়া, মো. ওয়াসিম, অঙ্গসংগঠনের নেতা ম. হামিদ, মো. মুসা, আলী সাকি, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, ইকবাল পারভেজ, রাশেদুল হাসান লেবু, এরশাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন রাসেল, রাজন খান, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, জমির উদ্দিন নাহিদ, শেখ রাসেল, ইদ্রিস আলম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি