সীতাকুন্ডে গাছ পড়ে ঘর বিধ্বস্ত, আহত ১০

63

সীতাকুন্ডে ঘূর্ণিঝড় ফনীর প্রভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়ায় প্রচুর গাছ উপড়ে গেছে। অনেক গাছ পড়েছে বসতঘরের উপর। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে অনেক ঘরের। এদিকে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রচারে জানমালের তেমন ক্ষতি না হলেও গতকাল শনিবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১০ জন আহত হন বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে পৌরসদর পেশকারপাড়া মো. হানিফের পুত্র মো. আরিফ হোসেন (২৭), একই এলাকার ওসমান হোসেনের পুত্র মো. সাইফুদ্দিন (৭), বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের অলিনগর এলাকার আবদুল কাদেরের স্ত্রী রোকসান বেগম (৪৪), পৌরসদর পন্থিছিলা কাসেম সিকদারের স্ত্রী পিংকি আক্তার (২৮), বারৈয়াঢালা ছোট দারোগারহাট এলাকার লোকমান হোসেনের স্ত্রী লায়লা বেগম (৬০), সোনাইছড়ি উত্তর ঘোড়ামারা এলাকার কবির আহাম্মদের স্ত্রী ছালেহা বেগমের (৫০) নাম জানা গেছে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে উপজেলার সাতটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া উপক‚লবাসীকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মিল্টন রায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মাহবুবুল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্ল্যাহ মজুমদারসহ প্রমুখ।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে গত শুক্রবার রাত থেকে সীতাকুন্ডের উপর দিয়ে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া এবং ভারীবৃষ্টিপাত হয়।
এ সময় সোনাইছড়ি ঘোড়ামারা বুলবুলিপাড়া এলাকায় বসতঘরে বিদ্যুতের খুটি, বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে ১০জন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের সীতাকুন্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার দুই রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাতটি আশ্রয় কেন্দ্রে আসা ৫৬২ জন উপক‚লবাসীকে শুকনো খাবারসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে প্রশাসন।
উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির (সিপিপি) টিম লিডার মো. শাহজাহান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আমরা গত দুই দিন ধরে উপক‚লীয় এলাকায় ১৫ সদস্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। কোন রকম হতাহত ছাড়া উপক‚লবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রেরণ ও পুনরায় স্ব-স্ব বাড়িতে দিয়ে আসি।
সীতাকুন্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা আবদুল মজিদ ওসমানি বলেন, শনিবার সকাল থেকে আমার শিশুসহ ছয়জনকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।
সীতাকুন্ড উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মিল্টন রায় জানান, গত দুই দিন ধরে আমরা উপক‚লীবাসীকে সাতটি আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে এনেছি। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়।