সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

49

সরকারি প্রকল্পে কোনো কাজ না করেও বিল উত্তোলন, ইউনিয়ন পরিষদের অধীনস্ত দোকানভাড়া বাবদ আদায় করা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক দুই ইউপি সচিবসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার বিকেলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন ৩ নম্বর নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু জাফর মাহমুদ (৫৩), ভূজপুর থানার পালপাড়ার যাত্রা মোহন পালের ছেলে সুধীর কুমার পাল (৫৫), নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন (৪০) ও মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (৩৫), প্রকল্পের ঠিকাদার মেসার্স তৈয়ব এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মো. তৈয়ব (৩৫), মেসার্স এমকে এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মোজাফফর কামাল চৌধুরী (৫৫), মেসার্স আরএন এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মো. রফিকুল ইসলাম (৪০) ও মেসার্স হাজী আহমদ হোসেন মীরের প্রোপ্রাইটর মো. আবু তাহের (৪০)। খবর বাংলানিউজের
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ-পরিচালক মুহ. মাহবুবুল আলম বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পে কোনো কাজ না করে বিল উত্তোলন, ইউনিয়ন পরিষদের অধীনস্ত দোকানভাড়া বাবদ আদায় করা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক চেয়ারম্যান আবু জাফর মাহমুদ, সাবেক দুই সচিবসহ আটজনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১-১২ অর্থ বছর থেকে ২০১৫-১৬ অর্থ বছর পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দের ৬টি প্রকল্পের ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৬৭ টাকা এবং অক্টোবর ২০১১ থেকে জুলাই ২০১৬ পর্যন্ত নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদের অধীনস্ত ১৬টি দোকান ভাড়া ও এককালীন অগ্রীম বাবদ ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা পরস্পর যোগসাজশে ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এর মধ্যে ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ অর্থবছর রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণের দুইটি প্রকল্পে কোনো কাজ না করেই চেয়ারম্যান আবু জাফর মাহমুদ, সচিব ও ঠিকাদার মিলে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে।
আসামিদের গ্রেপ্তারে দুদকের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান উপ-পরিচালক মুহ. মাহবুবুল আলম।