রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ল লার্নিং সেন্টারসহ ৩০ ঘর

21

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল (পুটিনবনিয়া) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে স্কুলসহ ৩০টি ঘর। এ ঘটনায় তিনজন আহত
হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন মং চাথাই, মাছু ও লালা মং। গতকাল বুধবার দুপুর দুইটার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল পুটিনবনিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে এ আগুন লাগে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রোহিঙ্গারা জানায়, বুধবার দুপুরে টেকনাফের হোয়াইক্যং পুটিনবিনয়া রোহিঙ্গা শিবিরে পশ্চিম ব্লকে হঠাৎ করে একটি লার্নিং সেন্টার থেকে আগুন লাগে। এরপর রোহিঙ্গা শিবিরের একটি বøকে আগুন ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লী চাকমাদের ঘর আগুনে পুড়ে যায়। ঘরগুলো একটির সঙ্গে একটি লাগোয়াভাবে তৈরি করায় মুহূর্তেই সব ঘরে আগুন লেগে যায়। ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে ঘরগুলো পুড়ে যায়। এতে ৮টি লার্নিং স্কুল, রোহিঙ্গা শিবিরের ১৫টি ঘরসহ ৩০টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে পাহাড়ে বসতি গড়েন রোহিঙ্গারা। সেখানে ২০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।
হোয়াইক্যং রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা মো. জাবের বলেন, হঠাৎ করে আগুন ধরে ক্যাম্পের স্কুলসহ ৩০ টির মতো ঘর পুড়ে গেছে। তার মধ্যে কয়েকটি স্থানীয়দের ঘরও রয়েছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রোহিঙ্গাদের লার্নিং সেন্টারসহ বেশকিছু ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া ঘরগুলো পুনরায় নির্মাণ করে দেওয়া হবে। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান।